মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ল
জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) জরুরি অবস্থার বাড়ানোর ঘোষণা দেন জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। এছাড়া বিরোধীদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিতের ঘোষণাও দিয়েছে সেনা সরকার।
এদিকে, সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার অভিযোগে নতুন করে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সিইসি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার অভিযোগে ৭ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশগুলো।
১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ধর্মঘটের পরিকল্পনা করেন দেশটির অ্যাক্টিভিস্টরা। ফেসবুকে ইভেন্ট খোলার পরই তাদের ধরপাকড় শুরু করেছে জান্তা সরকার। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে ধর্মঘটের পরিকল্পনা করেন গণতন্ত্রপন্থিরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেই বাড়িতে 'নীরব ধর্মঘট' পালনের কর্মসূচি নেন তারা।
স্থানীয় গণমাধ্যম মিয়ানমা আলিন ডেইলি জানিয়েছে, এই প্রতিবাদ কর্মসূচি দমনে অ্যাক্টিভিস্টদের ধরপাকড় করার অভিযোগ উঠেছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে। ফেসবুকে প্রতিবাদ কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রকাশের পর ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও মিয়াওয়াদ্দিতে অন্তত ৫৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানো এবং সু চিসহ আটক নেতাদের মুক্তি দিতে সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে, আলোচনার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহবান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, অভ্যুত্থানের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কেএফ/