বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মন্ত্রীর বাসায় অভিযান, নগদ টাকা ও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর বাসা থেকে নগদ রুপি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি নথি উদ্ধার করেছে ইডি।

শনিবার (২৩ মার্চ) হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ইডি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১৪ ঘণ্টা যাবৎ ইডি তদন্তকারীরা সেখানে তল্লাশি চালান। সেই অভিযানে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। উদ্ধার করা টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। পাশাপাশি মন্ত্রীর মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করে পরীক্ষার জন্যে সিএফএসএল-এ পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ মোট ৪১ লাখ রুপি। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রীর নাম এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশির পর। কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকা উদ্ধার করা হয়। সেই তালিকার সূত্র ধরেই চন্দ্রনাথের বাড়িতে অভিয়ান চালান তদন্তকারী অফিসাররা।

উল্লেখিত তালিকা নিয়ে কুন্তল ঘোষকে পৃথকভাবে জেরা করেছিল সিবিআই এবং ইডি। জেরার সময় মন্ত্রীর নাম বলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। ইডির তদন্তকারীদের দাবি- কুন্তল ঘোষের ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করতেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। চন্দ্রনাথ সিনহার তরফ থেকে কুন্তলের কাছে চাকরিপ্রার্থীদের নাম পাঠানো হত। তবে এর নেপথ্যে আর্থিক লেনদেন ছিল কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে প্রমাণের খোঁজ চলছে।

এরই মধ্যে ইডি’র তল্লাশিতে উদ্ধার হল কয়েক লাখ টাকা। শুধুমাত্র টাকা নয়, মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইডি তদন্তকারীরা। এর আগে উচ্চ আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে রিপোর্টটি ইডি জমা দিয়েছিল, তাতেও ছিল চন্দ্রনাথ সিনহার নাম।

Header Ad
Header Ad

ডিএনএ মিলেছে, সেই মাহমুদুর রহমানই বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী

সেই মাহমুদুর রহমানই বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ টেস্ট তার পরিবারের সঙ্গে মিলেছে। এখন পরিবারে পছন্দমতো কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ দাফন করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী।

এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর তার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ আবুল হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ টেস্ট করার নির্দেশ দেন।

২০২১ সালে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই সালের ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকার সাভারের জালালাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে জানান, সদ্য বিদায়ী স্বৈরাচারী সরকার ওদের গোয়েন্দা বিভাগ একটা নাটক রচনা করে বাবার মৃত্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মিডিয়া একটার পর একটা রিপোর্ট করেছে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। এটা নিয়ে যেন কখনো প্রশ্ন না উঠে সেটা ডিটারমিন করার জন্য এ রিট করেছি। আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকবে সন্তান হিসেবে এটা খুব মর্মান্তিক, কষ্টদায়ক। এখনো মানুষ জিজ্ঞেস করে সত্যিই কি মারা গেছেন! আমাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই এটা শেষ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত নিরাশ করেননি।

সাভারের জামিয়া খাতামুন নাবিয়্যিন মাদ্রাসার কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নামে কবর দেওয়া হয় আবুল হারিছ চৌধুরীকে। তার পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আবুল হারিছ চৌধুরীর নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হবে না ও তার নামে থাকা ইন্টারপোল রেড নোটিশ কেন প্রত্যাহার করা হবে না, তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নিজ জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার যথাযথ সম্মান দিয়ে কেন কবরস্থ করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল( জন্ম ও মৃত্যু), সিআইডির পরিচালক, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার ও সাভার মডেল থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর হারিছ চৌধুরী সস্ত্রীক তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগরে যান। রাত ১২টার পর তার ব্যক্তিগত সহকারী আতিক মোবাইল ফোনে জানান, ঢাকায় বিএনপি নেতাদের বাসভবনে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। কয়েক ঘণ্টা পর যৌথ বাহিনী হারিছের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তার আগেই তিনি সটকে পড়েছিলেন। কিছুদিন সিলেটে এখানে-ওখানে লুকিয়ে থাকার পর ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে ভারতে চলে যান। ভারতের আসামের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরে তার নানাবাড়ি। সেখানেই তিনি ওঠেন। সেখান থেকেই বিদেশে যাতায়াত করতেন।

Header Ad
Header Ad

৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনও পলাতক, ৬৯ কারাগারের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে গত ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তন ঘটে। এসময় পালিয়ে যাওয়া কারাবন্দিদের মধ্যে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি ৭০০ অপরাধীকে, যাদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গিও রয়েছে। এ ছাড়া, দেশের ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৭টি কারাগার এখনও ঝুঁকিপূর্ণ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে কারা অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কারাগার থেকে পালানোর ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে জন্য প্রতিটি ঘটনাকে আলাদাভাবে পর্যালোচনা করে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ কারাগার সংস্কার দরকার জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি কারাগার অনেক পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার বিষয়গুলো জানে, এগুলো দ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণ দরকার।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কোনো আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর আর কোনো দায় থাকে না কারা কর্তৃপক্ষের। কোনো কয়েদিকেই অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। আর যারা ডিভিশন পাওয়ার যোগ্য, তাদের তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

কারা মহাপরিদর্শকের বক্তব্যে উঠে আসে, ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের আগে ও পরে বিভিন্ন কারাগার থেকে ২২শ’ আসামি পালিয়ে যায়, যাদের ১৫শ’ জনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ৭০ জন ফাঁসি ও আলোচিত মামলার আসামি এখনও পলাতক।

এদিকে, কারারক্ষী কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

Header Ad
Header Ad

ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি

পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসেই এই চিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দশক পর পাকিস্তানের কাছ থেকে এত বিপুল পরিমাণে চিনি দেশে আসছে।

কয়েক দশক পর দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির কাছ থেকে এতো বিপুল পরিমাণে চিনি কিনলো ঢাকা। এর আগে ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনতো বাংলাদেশ।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। কর্মকর্তাদের মতে, বহু দশক পর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে এত বিপুল পরিমাণে নিজেদের উৎপাচিত পণ্য পাঠাচ্ছে পাকিস্তানি চিনি শিল্প।

গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কমবেশি ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনি শিল্প। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে।

থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনি শিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে।

চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত পাকিস্তানের চিনি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে। চলতি বছর পাকিস্তানের ৮০ টিরও বেশি চিনিকল গত সোমবার থেকে চিনি উৎপাদন শুরু করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডিএনএ মিলেছে, সেই মাহমুদুর রহমানই বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী
৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি এখনও পলাতক, ৬৯ কারাগারের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ
ভারত নয়, এবার পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আমু ও কামরুলকে গ্রেপ্তার দেখাল ট্রাইব্যুনাল
ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা: মাহফুজ আলম
‘শেখ হাসিনার আমলের চেয়ে হিন্দুরা এখন বেশি নিরাপদে আছে’
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র
বাসায় চুরি, পুলিশের দ্বারস্থ ওমর সানী
ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
শীত জেঁকে বসেছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়
আবারও সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট জয়
বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার