নিলামে উঠল সু চির বাড়ি, কিনল না কেউ
ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি যেই বাড়িতে ১৫ বছর গৃহবন্দী ছিলেন, সেই বাড়িটি নিলামের নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশটির সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি আদালত। সেই নির্দেশ অনুযায়ী বাড়িটি আজ বুধবার নিলামে তোলা হয়েছিল। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো কেউ নিলামের প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, নিলামে সু চির বাড়ির প্রারম্ভিক দাম ধরা হয়েছিল ৯ কোটি ডলার। কিন্তু কেউ নিলামে আগ্রহ দেখায়নি।
ইয়াঙ্গুনের ইনয়ে হ্রদের পাশে বাড়িটির মালিকানা নিয়ে বড় ভাই অং সান ও–এর সঙ্গে সু চির বিরোধ ছিল। চলছিল আইনি লড়াই।
বহু বছরের আইনি লড়াইয়ের পর মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্ট বাড়িটি নিলামে তোলার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা মেনে আজ সু চির পারিবারিক বাড়ি নিলামে ওঠে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান নোবেলজয়ী সু চি। এর পর থেকে কারাগারে আছেন তিনি। সু চির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। কয়েকটি মামলায় সাজাও পেয়েছেন।
নিলামের প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বিষয়টির স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় নিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, আজকের নিলামে কেউ বাড়িটি কিনতে আসেননি। তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চলে গেছেন।
বিবিসি বার্মিজের পক্ষ থেকেও এ খবর জানানো হয়েছে।
নিলামে বাড়িটি বিক্রি না হওয়ার প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে অং সান ও-এর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু সাড়া মিলেনি।
সু চির বাবা জেনারেল অং সান ছিলেন মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক। ১৯৪৭ সালে তাঁকে হত্যা করা হয়। এরপর সু চির মা খিন খিয়ি-এর তত্ত্বাবধানে ছিল বাড়িটি।
পারিবারিক বাড়ির ভাগ চেয়ে ২০০০ সালে মামলা করেন অং সান ও। ২০১৬ সালে ওই মামলার রায় হয়। আদালত পুরো সম্পত্তি ভাই-বোনদের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করার নির্দেশ দেন।
আদালতে এমন নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন অং সান ও। অভ্যুত্থানের পর সর্বোচ্চ আদালত তাঁর বিশেষ আপিলের পক্ষে রায় দেন। বাড়িটি নিলামে বিক্রি করতে বলেন। কিন্তু সেই উদ্যোগ সফল হলো না। সূত্র- রয়টার্স