গর্ভবতী হতে যে গ্রামে ছুটে আসেন ইউরোপীয় নারীরা!
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
কথায় আছে শখের তোলা আশি টাকা, আর সেই শখ যদি হয় কোন নারীর, তাহলে তার দাম বেড়ে যায় আরও অনেক। নিজেদের শখ পূরণে নারীরা কত কিছুই না করে। আর একজন নারীর সব থেকে বড় শখ বা ইচ্ছার মধ্যে একটি হলো মা হওয়া। ভূমিষ্ঠ হবে নিজের উত্তরাধিকার বিষয়টি অনেকটাই প্রকৃতির চক্র।
কিন্তু এমন কি কখনও শুনেছেন গর্ভবতী হওয়ার জন্য স্বামী বা সঙ্গী নয় অন্য দেশে ছুটে যাচ্ছেন নারীরা। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও গর্ভবতী হতে সুদূর ইউরোপ থেকে এখনও নারীরা ভারতের একটি গ্রামে ছুটে আসেন।
বলা হয় ভারতের লাদাখে এমন একটি জায়গা আছে যেখানে আর্যরা বসবাস করেন। এই গ্রামে যারা বসবাস শুরু করেন, তারা ব্রোকোপা উপজাতির সদস্য হিসাবে পরিচিত হন এবং তারা আলেকজান্ডার সেনাবাহিনীর বংশধর হিসাবে ধরা হয়।
আলেকজান্ডারের সেনাবাহিনীর সৈনিকরা ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী। তাদের ছিল দীর্ঘাকার, পুরুষালি চেহারা এবং নীল রঙের চোখ। ইউরোপের মহিলারা এইরকম সন্তান লাভের আশাতেই ভারতের এই গ্রামে আসেন এবং সেখানে পুরুষদের সঙ্গে সহবাস করে গর্ভবতী হন।
গর্ভবতী হওয়ার পর তারা ফের নিজেদের দেশে ফিরে যান। তাদের বিশ্বাস, এখানকার পুরুষদের সঙ্গে সহবাস করে গর্ভবতী হলে তাদের সন্তানরা হবে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট-এর মতো।
ভারতের এই গ্রামে ইউরোপের মহিলারা এসে সহবাস এবং গর্ভবতী হওয়ার জন্য এখানকার পুরুষদের মোটা টাকা দিয়ে থাকেন বলে শোনা যায়। যদিও বর্তমানে একটি এক প্রকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
দাবি করা হয়, আজও এই আর্য এলাকায় ২০০০ এর বেশি আর্য উপজাতির মানুষ বসবাস করে থাকেন। এখানকার মানুষের পোশাক আশাকও আলাদা এবং তারা পুরুষ মহিলা উভয়েই রঙিন ও আলাদা ধরনের পোশাক পরেন।
এই আর্য উপত্যকাটি রয়েছে লাদাখে। কারগিল থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে এই গ্রাম অবস্থিত। জানা যায়, বর্তমানে যখন সব জায়গায় আধুনিকতার ছোঁয়া পৌঁছে গিয়েছে তখনও লাদাখের এই আর্য উপত্যকায় আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া পৌঁছায়নি।