শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কারাগারেই গর্ভবতী হচ্ছেন নারী বন্দীরা !

ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কারাগারগুলোতে নারী বন্দীরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন এবং কারাগারেই তাদের সন্তানরা জন্ম নিচ্ছে। এমন খবরে গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যগুলোতে কারাগারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন আইনজীবী তাপস ভঞ্জ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টকে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছেন তাপস। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের সংশোধনাগারগুলোর (কারাগার) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে যে ছবি উঠে এসেছে সেটা উদ্বেগজনক। সংশোধনাগারে থাকাকালীন নারী বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন। ১৯৬ জন শিশু মায়ের সঙ্গে সংশোধনাগারে রয়েছে।’

কলকাতা হাইকোর্টে এই প্রতিবেদন পেশ করার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস গণনম। বিষয়টি ফৌজদারি মামলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালের জুন মাসে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আর সি লাহোটি সুপ্রিম কোর্টকে একটি চিঠি দিয়ে দেশের কারাগারের করুণ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন।

সে সময় সর্বোচ্চ আদালতকে দেশের কারাগারগুলোতে বন্দিদের মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যা, অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ সেখানকার বেহাল পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছিল। রাজ্যগুলো যে বন্দিদের প্রতি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না, সে বিষয়েও উল্লেখ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। সে বছর জুলাই মাসে ওই চিঠি ‘জনস্বার্থ রিট পিটিশন’ হিসাবে দায়ের হয়।

কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারে বন্দিদের সমস্যা ও বেহাল পরিষেবার চিত্র জানানো হয়েছে। আইনজীবী তাপস বলেন, ‘২২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন এবং কারা বিভাগের আইজিসহ আমরা আলিপুর সংশোধনাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সে সময় এক নারী বন্দিকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দেখা যায়।’

তিনি জানান, আলিপুর নারী কারাগারে ১৫জন শিশু তাদের মায়ের সঙ্গে রয়েছে, যাদের মধ্যে সাত জন স্কুলে পড়ে এবং আট জন কারাগারেই পড়াশোনা করে। একাধিক নারী কারাগারের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভাল নয় এবং তা ক্রমশ আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

কারাগারে বন্দিদের মধ্যে যারা এখন অন্তঃসত্ত্বা বা ইতিমধ্যেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন, তারা আগে থেকেই সন্তানসম্ভবা ছিলেন না কি জেলে এসে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তাপস বলেন, ‘তাদের মধ্যে কেউ কেউ জেলের কর্মীদের দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন, এমনটা হতেই পারে। সেই কারণে আমি সুপারিশ করেছি, সংশোধনাগারে ঢোকার আগে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হোক। যাতে বোঝা যায়, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটছে।’

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে পেশ করা ওই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সমাজকর্মী রত্নাবলী রায় বলেন, “আমার কাছে বিষয়টা নিজের শরীরের উপর বন্দি নারীর অধিকারের প্রশ্ন, সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতার প্রশ্ন।” তিনি বলেন, ‘এ ধরণের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যৌনতা কখনও কখনও একটা সুবিধা আদায়ের উপায়ও হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু সেটাকে আমরা তার স্বাধীন পছন্দ ও সিদ্ধান্ত বলবো কি? বা যে সন্তানের জন্ম হলো, তার শৈশবের সুরক্ষার দায় নেবে কে?’

সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কয়েকটি সুপারিশ করেছেন আইনজীবী তাপস। কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, কারাগারে প্রবেশের আগে প্রেগনেন্সি টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হোক। নারী বন্দিরা যেখানে থাকেন সেখানে কারা বিভাগের পুরুষ কর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। মৃত বন্দিদের দেহের ময়না তদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক করা হোক। এছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির উপর জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

Header Ad

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সঙ্গে সব মামলা বাতিল হবে: ড. আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

আজ শুক্রবার বিকালে ঢাকা ক্লাবে ‘ডিআরইউ-দেশ টিভি বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, ‌‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে সব মামলা রহিত (বাতিল) হবে। শুধু কম্পিউটার অফেন্স, যেটা কম্পিউটার হ্যাকিং, ছেলেমেয়ের ঘনিষ্ঠতার ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা– এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে অব্যাহত থাকবে।’

‘কিন্তু সাংবাদিকতা বা মুক্তমনা মানুষ, ভিন্নমতের মানুষের মন্তব্যের জন্য যেসব মামলা সেগুলো ফেস বাই ফেস রহিত হবে।’

Header Ad

মাথাচাড়া দিচ্ছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা : হাসনাত আবদুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে। গোপনে ভিডিও বার্তা দিচ্ছে। তারা যদি আবারও মাঠে নামে, প্রথমে টার্গেট করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্যদের, এমন বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই বিপ্লবকে সমুন্নত রাখতে এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিপ্লবী ছাত্রজনতার করণীয়’ শীর্ষক ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নুর হোসেন মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমও বক্তব্য রাখেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই মধ্যবিত্ত পরিবারের। তারা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে পড়তে আসেন না। তাঁরা নিজের ও পরিবারের হাল ধরতে আসেন। ৫ আগস্টের পর একটা জেনারেশন কনফ্লিক্ট দেখা যাচ্ছে। জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদেরা তরুণ প্রজন্মের ত্যাগকে অবজ্ঞা করছেন।

অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, আমি যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাতারে না থাকতে পারি, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হওয়ার নৈতিক অধিকার আমার থাকতে পারে না। আমরা আমাদের প্রতিনিধি তৈরি করব, নেতা তৈরি করব না। গত ১৬ বছরে কেউ যখন নেতা হয়ে উঠেছেন, তার পা আর মাটি স্পর্শ করেনি। আমরা আমাদের ওইসব নেতা চাই না, যাদের পা মাটিতে পড়ে না।

তিনি বলেন, আমরা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা। তাহলে কেন আমাদের মধ্যে শোডাউন (মহড়া) দেওয়ার মনমানসিকতা থাকবে? গত ১৬ বছরে এই শোডাউন কারা দিয়েছে? একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যদি আমাদের পায়ে হেঁটে চলার মানসিকতা না থাকে, যদি শোডাউন দিয়ে চলতে হয়, তাহলে আমরা যাদের সাধারণ শিক্ষার্থী বলি, আমি কি তাদের কাতারে আছি?

নেতৃত্ব তৈরির জন্য ছাত্র সংসদ চালুর দাবি জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, প্রতিবছর ছাত্র সংসদের নির্বাচন করলেই কেবল সুষ্ঠু নেতৃত্ব তৈরি সম্ভব। কেউ যদি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কোনো ক্ষমতায় যান কিংবা চেয়ারে বসে তিনি শুধু তার ঊর্ধ্বতনদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন, লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি নির্দিষ্ট পক্ষের স্বার্থকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল উদ্দেশ্য নয়।

Header Ad

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৫, আক্রান্ত ৪৬৬

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬৬ জন।

শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫০, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯২, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৪৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৯৭ ও খুলনা বিভাগে ৪৩ জন রয়েছেন। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৯ জন, রংপুর বিভাগে ১ এবং সিলেটে ৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৬৯ হাজার ৯২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন পর্যন্ত চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৪২ জনের। এর আগে গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সঙ্গে সব মামলা বাতিল হবে: ড. আসিফ নজরুল
মাথাচাড়া দিচ্ছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা : হাসনাত আবদুল্লাহ
ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৫, আক্রান্ত ৪৬৬
তারা জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে, জুলুম করেছে : ড. শফিকুর রহমান
জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না: তারেক রহমান
প্যারিসে পিনাকী ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করলেন আসিফ মাহমুদ
জেনেভা বিমানবন্দরে আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, তারেক রহমানের তীব্র নিন্দা
ভাতিজিকে ধর্ষণ করতে গিয়ে পুরুষাঙ্গ হারালেন চাচা
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রথা বাতিল হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না: মির্জা ফখরুল
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলেও হাসিনার আসার সুযোগ নেই: মাহমুদুর রহমান
বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার এর মৃত্যু
শোভাযাত্রায় যোগ দিতে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল
কুড়িল বিশ্বরোডে বিআরটিসি বাসে আগুন
তিনটি পর্বতারোহণে রেকর্ড গড়লেন পাবনার তৌকির
ইসরায়েলি হামলায় গাজা ও লেবাননে আরও শতাধিক নিহত
আবারও এমবাপ্পেকে ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
চিফ অফ স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসকে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
নারী ফুটবলারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়ার ভয়াবহ শাস্তি