ধর্মীয় দলগুলোর সঙ্গে জোট করছে পিটিআই
ছবি: সংগৃহীত
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠনে তৎপর দেশটির বৃহত্তর দলগুলো।
এরই ধারাবাহিকতায় ধর্মীয় দলগুলের সঙ্গে জোট করছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই। দলটির নেতারা মঙ্গলবার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যালঘু দল মজলিশ-ই-ওয়াহদাত-মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) সঙ্গে মিলে ফেডারেল সরকারের পাশাপাশি পাঞ্জাবে সরকার গঠন করার চেষ্টা করবেন।
দলটি বলছে, সরকার গঠনে তাদের প্রার্থীরা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে জামাত-ই-ইসলামির (জেআই) সঙ্গে জোট গঠন করবে।
উল্লেখ্য, আইনি জটিলতার কারণে নিজস্ব দলীয় ‘ব্যাট’ প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি পিটিআই প্রার্থীরা। ফলে তারা পিটিআই-এর সমর্থনে বিভিন্ন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে। তারপরও সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছে দলটি।
যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই, তাই সরকার গঠনের জন্য তাদের একটি রাজনৈতিক দল বা জোটের অংশ হতে হবে।
মঙ্গলবার জোটের পরিকল্পনা ঘোষণায় পিটিআই মুখপাত্র রওফ হাসান বলেন, তিনি ইমরান খানের আদেশ পেয়েছেন। তাকে বলা হয়েছে, পিপিপি, পিএমএল-এন ও এমকিউএম বা মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট বাদে অন্যান্য দলের কাছে তিনি যেন প্রস্তাব দেন।
ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসান বলেন, ইমরান খানের স্পষ্ট বার্তা হল- যারা নির্বাচনে জিতেছেন, সরকার গঠন করা তাদের অধিকার।
সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনে পিটিআই প্রতীক হারায়। এতে দলটির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হন।
খানের সিদ্ধান্ত, তিনি পাকিস্তানের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন বা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি’র সঙ্গে যোগ দেবেন না। ইমরান তাদের দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা