মঙ্গলে ১০ লাখ মানুষকে পাঠাতে চান: মাস্ক
ছবি সংগৃহিত
মঙ্গল গ্রহের প্রতি ইলন মাস্কের তীব্র আগ্রহ নতুন নয়। লাল গ্রহটিতে মানব বসতি গড়ে তুলতে চান তিনি। সেই ইচ্ছার কথা আরও একবার ঘোষণা দিয়েছেন এ মার্কিন ধনকুবের। মঙ্গলে ১০ লাখ মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে টেসলা ওনার্স সিলিকন ভ্যালে নামে একটি হ্যান্ডেল থেকে মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স নির্মিত একটি রকেটের ভিডিও শেয়ার করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, স্টারশিপ হলো এখন পর্যন্ত নির্মিত বৃহত্তম রকেট এবং এটি আমাদের মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাবে।
প্রতি বছর কয়েক মেগাটন কার্গো মঙ্গল গ্রহে নেবে স্পেসএক্স-এর রকেট। ফলে এই শতকের মাঝামাঝি মানব বসতির জন্য প্রস্তুত হবে গ্রহটি-- খবর আইএএনএস-এর।
এক্স (টুইট) বার্তায় মাস্ক বলেন, “স্টারশিপের লক্ষ্য প্রতিদিন গড়ে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করা, এতে প্রতি বছর এক হাজারের বেশি ফ্লাইট পাঠানো হবে, প্রতি ফ্লাইটে ১০০ টনের বেশির কার্গো যাবে। ফলে প্রতি বছর এক মেগাটন কার্গো পাঠানো হবে।”
এতে তিনি বলেন, লাল মাটির মঙ্গল গ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করতে চান। সভ্যতা এক সময় এই পৃথিবীতে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু মঙ্গলে মানুষ থাকতে পারবে দীর্ঘদিন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, এমন এক সময়ে মাস্ক এ কথা বললেন যখন তাঁর প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেটের ক্ষমতা নিয়ে বেশ কয়েকজন প্রশ্ন তোলেন। সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে তোলা এসব প্রশ্নের উত্তরে মাস্ক জানান, তিনি মঙ্গলে বসতি স্থাপনকারী পাঠাবেন।
এক্স (টুইটে) মাস্ক বলেন, মঙ্গলে আমাদের উদ্দেশ্য ঠিকঠাকমতোই আমরা পূরণ করতে পারব। একদিন পরিস্থিতি এমন হবে, মঙ্গলে যাওয়া হয়ে যাবে পাশের দেশে ঘুরতে যাওয়ার মতো।
মঙ্গল নিয়ে এমন উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই জানিয়ে আসছেন মাস্ক। এবারের মন্তব্যের পর তাঁর স্পেসএক্স কার্যক্রমে আরও গতি আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহেই মাস্ক বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে তাঁর স্টারশিপ মঙ্গলে যেতে সক্ষম হবে। আগামী ৫০ বছরের মধ্যে মহাকাশের আনাচে কানাচে ঘুরতে পারবেন স্পেসএক্সের ক্রুরা। এমনকি মঙ্গলে ঘাঁটিও বানাতে চান তিনি।
লাল গ্রহটিতে স্বনির্ভর বসতি স্থাপনে খরচ ১০০ বিলিয়ন থেকে ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে থাকবে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন মাস্ক।