নির্বাচনের পর যে বার্তা দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনীর। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের নির্বাচনের পর সরকার গঠন নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। নানান আলোচনা চলছে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমগুলোতে। এই অবস্থায় এবারের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনীর।
আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে জেনারেল মুনির তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল এবং বিজয়ী সকল প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জনগণের তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের জন্য অবাধ এবং বাধাহীন অংশগ্রহণ পাকিস্তানের সংবিধানে বর্ণিত গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রদর্শন করে।
একই সঙ্গে অপ্রতিরোধ্য প্রতিকূলতার মধ্যেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ প্রশংসার দাবিদার বলেও জানান তিনি। এ ছাড়াও জাতীয় গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বেসামরিক প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত গঠনমূলক ভূমিকা নির্বাচন সফলে ভূমিকা রেখেছে।
বিবৃতি আরও বলা হয়, নির্বাচন জয়-পরাজয়ের শূন্য-সমষ্টি নয় বরং জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের একটি মহড়া। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কর্মীদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের শাসন ও সেবা করার প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা উচিত যা গণতন্ত্রকে কার্যকরী ও উদ্দেশ্যমূলক করার একমাত্র উপায় হতে পারে।
পাকিস্তানের জনগণ যেহেতু পাকিস্তানের সংবিধানের প্রতি তাদের সম্মিলিত আস্থা রেখেছে, এখন রাজনৈতিক পরিপক্বতা এবং ঐক্যের সঙ্গে এর প্রতিদান দেওয়া সমস্ত রাজনৈতিক দলের ওপর কর্তব্য।
২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দলের চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের অধিকাংশই ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে ফলাফলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। এই দুটি দলই জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে।
জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০৬টি আসন। তাদের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী ৯৭ জন। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৭২টি আসন এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫২টি আসন।