নিরঙ্কুশ জয় দাবি করে ইমরান খানের 'বিজয়ী ভাষণ'
ইমরান খান। ছবি: সংগৃহীত
কারাগার থেকে অনুমোদন নিয়ে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় বানানো) ভাষণে বিজয় উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরানের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এই নির্বাচনে জাতির নজিরবিহীন লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই লড়াইয়ের মাধ্যমে পিটিআই-এর নিরঙ্কুশ জয় হয়েছে বলে ভাষণে বলা হয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে তৈরি ইমরান খানের এই ভাষণ প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় তিনি আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন।
এদিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৪১ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৮টি আসন। স্বতন্ত্রদের অধিকাংশই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত। আর নওয়াজ শরিফের পিএমএন-এল পেয়েছে ৬৭টি আসন।
Chairman Imran Khan's victory speech (AI version) after an unprecedented fightback from the nation that resulted in PTI’s landslide victory in General Elections 2024. pic.twitter.com/Z6GiLwCVCR
— Imran Khan (ImranKhanPTI) February 9, 2024
অপরদিকে, বিলাওয়াল ভূট্টোর পিপিপি পেয়েছে ৫১টি আসন ও এমকিউএম দল পেয়েছে ১৫টি আসন। বাকি দলগুলো পেয়েছে মোট ১০টি আসন। এখন পর্যন্ত ২৪টি আসনের ফল ঘোষণা বাকি।
আরেকটি আসনের প্রার্থী ভোটের আগেরদিন নিহত হওয়ায় ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রেখেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এর আগে ফল ঘোষণা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন নওয়াজ শরিফ। বিজয়ী ভাষণে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তাদের সঙ্গে জোট গঠন করার বিষয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এর আগে ফল ঘোষণায় বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবার ভোট গণনায় ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যোগাযোগে গোলযোগের কারণে ভোট গণনায় দেরি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনের দিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভোটগ্রহণ শুরুর মাত্র ১০ মিনিট আগে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানে। কল ও ডেটা সেবা, কোনটিই সচল ছিল না সেদিন।
গত বুধবার, অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারির হামলার ঘটনা মোবাইল পরিষেবা বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেদিন পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রার্থীদের কার্যালয়ে দু’টি পৃথক বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়।
কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকায় এখন নির্বাচনি ফলাফল আসতে দেরি হচ্ছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে বলেছে। তবে, ইমরান খানের দলের দাবি, ফল ঘোষণায় এমন বিলম্ব ভোট কারচুপির লক্ষণ।