সমুদ্রের নিচে স্বচ্ছ রেলওয়ে টানেল নির্মাণ করবে মালদ্বীপ
ছবি: সংগৃহীত
এবার গভীর সমুদ্রের নিচে স্বচ্ছ রেলওয়ে টানেল নির্মাণ করতে যাচ্ছে মালদ্বীপ। দ্বীপরাষ্ট্রটির সব থেকে বড় প্রকল্প রাস মালেকে দেশেটির রাজধানী মালের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে স্বচ্ছ রেলওয়ে টানেল নির্মাণ করবে মুইজ্জু সরকার। দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম রাজে টিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সোমবার রাজধানী মালের সিটি কাউন্সিলের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ঘোষণা দেশ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। অনুষ্ঠানে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই রেলওয়ে টানেলটি এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে রাস মালে ও মালের মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীরা মালদ্বীপের সমুদ্রের তলদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
মুইজ্জু জানান, এই প্রকল্প মালদ্বীপের পর্যটন খাতকে আরও বিকশিত করবে। তিনি আরও জানান, তাঁর সরকার এরই মধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বা ফিজিবিলিটি স্টাডি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি এই প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্য ঠিকাদারদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, মালদ্বীপে চীনা গবেষণা জাহাজের আগমনকে ঘিরে আঞ্চলিক রাজনীতি বেশ খানিকটা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যদিও মালদ্বীপ সরকার জানিয়েছে, চীনের গবেষণা জাহাজ শাং ইয়াং হং-০৩ মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে যাত্রাবিরতি করলেও দেশটির জলসীমায় কোনো গবেষণা কার্যক্রম চালাবে না।
মালদ্বীপের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। এর মধ্যে দেশটিতে চীনের ‘গোয়েন্দা’ জাহাজ যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভারতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ, চীনের এই গবেষণা জাহাজ এমন এক সময়ে মালদ্বীপের দিকে যাচ্ছে, যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ভারতের পরিবর্তে মিত্র হিসেবে বেইজিংকে কাছে টেনে নিয়েছেন। একই সময়ে নয়াদিল্লিকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন।
তবে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মালদ্বীপের বন্দরে এ ধরনের যাত্রাবিরতি মালদ্বীপ ও এর অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়ায় পাশাপাশি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর জাহাজকে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে মালদ্বীপের জনগণের শতাব্দী পুরোনো ঐতিহ্যকেও প্রদর্শন করে।’