বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

হাজার হাজার গাঁজাসেবীকে ক্ষমা করলেন জো বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

গাঁজা সেবন এবং নিজের কাছে রাখার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষকে নির্বাহী আদেশে ক্ষমা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মূলত মার্কিন বিচার ব্যবস্থায় বিদ্যমান জাতিগত বৈষম্য নিরসন এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হাজারো গাঁজাসেবীকে ক্ষমা করার পাশাপাশি আরও ১১ ব্যক্তিকে নির্বাহী আদেশে ক্ষমা করে দিয়েছেন বাইডেন। এই ১১ ব্যক্তিকে অহিংস মাদক অপরাধের দায়ে অযথা দীর্ঘদিনের সাজা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, এসব পদক্ষেপ মার্কিন বিচার ব্যবস্থায় সমতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে পরিণত করতে সহায়তা করবে। গাঁজা ব্যবহার ও রাখার অপরাধমূলক রেকর্ড দেশের কর্মসংস্থান, আবাসন ও শিক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে অযথা বাধা সৃষ্টি করেছে। গাঁজা নিয়ে আমাদের ব্যর্থ কর্মপদ্ধতির কারণে অনেক জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। আমাদের এসব ভুল সংশোধনের সময় এসেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের মিডটার্ম নির্বাচনের আগে গাঁজাসেবীদের ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন বাইডেন। এবার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের বছর তাদের ক্ষমা করে নির্বাহী আদেশ জারি করলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

একসঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসলেন ২০০ সমকামী

ছবি: সংগৃহীত

সমকামী বিবাহকে বৈধ ঘোষণা করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে থাইল্যান্ড। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির প্রায় ২ শতাধিক সমকামী দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এটি এলজিবিটিকিউ (প্লাস) সম্প্রদায়ের জন্য এক বিশাল অর্জন, যারা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সমকামী বিবাহের বৈধতার জন্য লড়াই করে আসছে।

ব্যাংকক প্রাইড এবং সিটি কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে থাই রাজধানীতে একটি বিশাল সমলিঙ্গ বিবাহের আয়োজন করেছে। সিয়াম প্যারাগন শপিং মলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রায় ২ শতাধিক সমকামী দম্পতি তাদের বিবাহ নিবন্ধন করেছেন।

গত বছর থাইল্যান্ডের সংসদে এ আইন পাস হলে অনুমোদন দেন দেশটির রাজা। এই আইনের আওতায় সমকামী দম্পতিরা এখন পূর্ণ আইনি, আর্থিক ও চিকিৎসা অধিকার পাবেন। এ ছাড়া তাঁরা দত্তক নিতে পারবেন এবং উত্তরাধিকার সূত্রেও সম্পত্তির অধিকার পাবেন।

নতুন এই আইনে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’, ‘স্বামী’ ও ‘স্ত্রী’ শব্দগুলোকে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শব্দে পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া সমলিঙ্গ বা সমকামী দম্পতিদের উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ ও চিকিৎসা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারসহ আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রা গত সপ্তাহে এলজিবিটিকিউ (প্লাস) সম্প্রদায়ের সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এই আইন প্রমাণ করে থাইল্যান্ড বৈচিত্র্য গ্রহণ করতে প্রস্তুত এবং সব ধরনের মানুষের অধিকার এখানে রয়েছে।’

তবে সমকামী বিবাহের বৈধতা পেলেও থাইল্যান্ডের এলজিবিটিকিউ (প্লাস) সম্প্রদায়ের অন্যান্য অংশ, বিশেষত ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। কারণ সমকামী বিবাহের বৈধতা পেলেও ট্রান্সজেন্ডারদের লিঙ্গ পরিচয়ের ব্যাপারটি এখনো বৈধতা পায়নি।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ৩০টি দেশের আদালত সমকামী বিবাহকে বৈধতা দিয়েছে। যার বেশির ভাগই ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার দেশ। এশিয়ার মধ্যে থাইল্যান্ডের আগে ২০১৯ সালে তাইওয়ান ও ২০২৩ সালে নেপাল সমকামী বিবাহকে বৈধ ঘোষণা করে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বিদেশিদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ আরও প্রসারিত করতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করেছে এবং উন্নত বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরিতে প্রস্তুত রয়েছে।”

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময় সুইজারল্যান্ডের দাভোসে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ড. ইউনূস বৈঠকে বলেছেন, “বাংলাদেশ বড় আকারে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত। সরকারের উদ্যোগে বন্দর ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি তরুণ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ একটি বৈশ্বিক রপ্তানি কেন্দ্র হয়ে ওঠার পথে রয়েছে।”

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস একাধিক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং তাদের বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ তৈরি করেছে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক এবং চীনের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং আলোচনার বিষয়েও তিনি আলোকপাত করেন।

বন্দরের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও সিইও সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম বৃহস্পতিবার সকালে (দাভোস সময়) ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়া, ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ-ও ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিভিন্ন ডিজিটাল উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, বিপুলসংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠী এবং রপ্তানিমুখী নীতির কারণে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। সরকার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সহজতর নীতি প্রণয়নে মনোযোগ দিয়েছে।

ড. ইউনূস গত ২১ জানুয়ারি দাভোস পৌঁছান এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনে তৃতীয় দিনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসার লক্ষ্যে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগ ১০ বছরের মধ্যে ফিরে আসবে: নুরুল হক

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ ১০ বছরের মধ্যে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের দুইটি বড় রাজনৈতিক দল হল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। আগে যারা বিএনপিকে সমর্থন করতো না, তারা আওয়ামী লীগকেই সমর্থন করতো। তবে, সবাই অপরাধে যুক্ত ছিল না।’

নুরুল হক নুর আরও বলেন, ‘আমার মতে, যারা সাধারণ ও অপরাধে যুক্ত ছিল না, তাদের নির্বাচন করার অধিকার থাকা উচিত। তাদের নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকার দেওয়া উচিত। যারা গণহত্যায় বা অন্য কোন অপরাধে জড়িত ছিল না, তারা মনে হয় না পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নাম নিয়েও নির্বাচন করতে চাবে। তারা হয়তো বিএনপি বা অন্য কোনো দলের দিকে যাবে।’

তিনি জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায়, যেমন গোপালগঞ্জে, তাদের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে, তবে আমি এটা বলছি না যে আওয়ামী লীগকে জাতীয় নির্বাচনে কোনো জায়গা দেওয়া উচিত। দেশের সাধারণ জনগণ তাদের জীবন দিয়ে যে পরিবর্তন আনার জন্য আন্দোলন করেছে, সেখানে আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই জায়গা দেওয়া যাবে না।’

নুরুল হক নুর আরও সতর্ক করে বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে তারা আবার ক্ষমতায় আসলে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। তাহলে আমরা এত কষ্ট করে আন্দোলন করলাম, জীবন দিলাম, তার কী মানে হবে?’

তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল এখন সুবিধাবাদী হয়ে উঠেছে। তারা বলছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে না, অথচ তাদের মূল উদ্দেশ্য হল আওয়ামী লীগের ভোটগুলো হাতিয়ে নেওয়া। এটা স্পষ্টতই জুলাই আন্দোলনের সাথে প্রতারণা।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একসঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসলেন ২০০ সমকামী
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বিদেশিদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
আওয়ামী লীগ ১০ বছরের মধ্যে ফিরে আসবে: নুরুল হক
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
বাফুফের অনুষ্ঠানে মধ্যমণি ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের ভাবনা
উপদেষ্টারা রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে: আসিফ
‌‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাপ্রধান
সালমান এফ রহমানের সাথে সংশ্লিষ্ট ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ
আঁতাতের মাধ্যমে আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে বিএনপি হাল ধরেছে: সেলিমা রহমান
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন নাহিদ ইসলাম
দেশের বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ৩৬৭ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
দুর্বার রাজশাহীর কাছে অপ্রতিরোধ্য রংপুরের প্রথম হারের স্বাদ
যে ৭ ভুলে দ্রুত নষ্ট হবে আপনার শখের স্মার্টফোন
অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার খরচ যোগাতে সড়কে পিঠা বিক্রি করছেন নূর ছবি বেগম
‘অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে কারাবন্দি হয়েছিলাম, এখন মেয়ের বয়স ১৫ বছর’
আবারও শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা, জানা গেল কবে-কোথায় বাড়বে শীত
ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে
টাঙ্গাইলে মাদক কারবারি আনোয়ারের স্ত্রীকে গ্রেফতার, স্বামী পলাতক
টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা, লেবু বাগানে মিলল মরদেহ