রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১০ কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন বাড়ির উঠোনে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষক

ছবি: সংগৃহীত

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া করানোর উদ্দেশে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজের বাড়ির উঠোনে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকিস্তানের রিফাত আরিফ । কিন্তু অর্থের অভাবে রিফাতের কাছে ছিল না কোনো শিক্ষক কিংবা ভবন । কিন্তু মনোবল ছিল অটুট । আজ সেই মনোবল স্বপ্নকে পুঁজি করেই রিফাত আরিফ এখন সারা বিশ্বের শিক্ষকের কাছে আইকন। অর্থের অভাবে যিনি স্কুল চালাতে পারছিল না । তিনিই আজ কোটিপতি বনে গেলেন ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, রিফাত আরিফ ‘সিস্টার জেফ’ নামেও পরিচিত। এই নারী শিক্ষাবিদের জন্ম পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায়। স্কুল চালানোর অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। সেই প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করার পর সন্ধ্যায় স্কুলে ফিরে এসে চার ঘণ্টা ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। রিফাতের এই পরিশ্রম বৃথা যায়নি। দীর্ঘ ২৬ বছর পর তাঁর স্কুলে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০ জন। সবাইকেই তিনি বিনামূল্যে শিক্ষা দেন।

রিফাত আরিফের স্কুল । ছবি: সংগৃহীত

রিফাতের এই মহানুভবতার জন্য গত মাসে তিনি ইউনেস্কোর ‘গ্লোবাল টিচার’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কার গ্রহণের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রিফাত বলেন, শিক্ষকতা নিছক কোনো পেশা নয়। এটি এমন এক পেশা, যা পরবর্তী প্রজন্মকে তৈরি করে। আসুন, আমরা প্রতিটি শিশুকে শেখার সুযোগ দেই, স্বপ্ন দেখার সুযোগ দেই এবং তাদেরকে ইতিবাচকভাবে বেড়ে উঠতে দেই।

পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ ডলার পেয়েছেন রিফাত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। পুরস্কারের এই পুরো অর্থই তিনি শিক্ষাখাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের অনেক ছোট শহরে পর্যাপ্ত স্কুল নেই, শিক্ষক নেই। অনেক শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’

রিফাত আরিফ বলেছেন, পুরস্কারের এই অর্থ দিয়ে তিনি অনাথ শিশুদের জন্য একটি স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবেন। সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এসে শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান তিনি।

Header Ad

সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

সাক্ষরতার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে জনগণসহ সরকারি ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণকে শিক্ষা ও সাক্ষরতা সম্পর্কে সচেতন ও উদীপ্ত করে তাদেরকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করা। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর অন্যতম হলো শিক্ষা।

তিনি বলেন, দেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ারও হচ্ছে শিক্ষা। নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক উভয় ধারার শিক্ষা কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। মায়ের ভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি অন্য এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে আমাদের শিশু, কিশোর ও যুবদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, বহু ভাষায় সাক্ষরতালব্ধ জ্ঞান বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে দৃঢ় মেলবন্ধন তৈরি করে। আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনমান, দেশের উন্নয়ন ও শান্তি ত্বরান্বিত হবে। এবছরের সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য তা অর্জনের দিকনির্দেশ করে।

তিনি বলেন, জাতি গঠনের প্রধান বাহন শিক্ষা। আর শিক্ষার প্রথম সোপান সাক্ষরতা। আশা করি, সাক্ষরতার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সদা সচেষ্ট থাকবে। এজন্য আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য প্রমোটিং মাল্টিলিঙ্গুয়াল এডুকেশন: লিটারেসি ফর মিউচুয়াল আন্ডারস্টান্ডিং এন্ড পিচ, যা বাংলায় মূলভাব ‘বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার : পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সূত্র: বাসস

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

ছবি: সংগৃহীত

আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ রোববার পালিত হচ্ছে এই দিনটি । দিবসটি উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্রমোটিং মাল্টিলিঙ্গুয়াল এডুকেশন : লিটারেসি ফর মিউচুয়াল আন্ডারস্টান্ডিং অ্যান্ড সি।’ যা বাংলায়, ‘বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা।’

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যুরো রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সচিব বাণী দিয়েছেন।

১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এবং ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো সাক্ষরতা অর্জন করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সাক্ষরতার সংজ্ঞায় ভিন্নতা থাকলেও ১৯৬৭ সালে ইউনেস্কো সর্বজনীন একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। তখন শুধু কেউ নাম লিখতে পারলেই তাকে সাক্ষর বলা হতো। পরবর্তীতে প্রায় প্রতি দশকেই এই সংজ্ঞায় পরিবর্তন এসেছে এবং ১৯৯৩ সালের একটি সংজ্ঞায় ব্যক্তিকে সাক্ষর হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। যথা: ব্যক্তি নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য পড়তে পারবে, নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য লিখতে পারবে, দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ হিসাব-নিকাশ করতে পারবে।

স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে। সাক্ষরতা এবং উন্নয়ন একই সূত্রে গাঁথা। নিরক্ষরতা উন্নয়নের অন্তরায়। টেকসই সমাজ গঠনের জন্য যে জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন তা সাক্ষরতার মাধ্যমেই অর্জন সম্ভব।

 

আজ থেকে ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলার সীমা থাকছে না

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোল‌নে বেঁধে দেওয়া সীমা প্রত্যাহার করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থে‌কে গ্রাহ‌ক তার প্রয়োজন মতো ব্যাংক থে‌কে নগদ টাকা তুলতে পারবেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নগদ অর্থ তোলার ওপর বিধিনিষেধ আর থাকছে না।

এর আগে, গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ উত্তোলনের সুযোগ ছিল। তার আগের সপ্তাহগুলোতে যথাক্রমে সর্বোচ্চ চার লাখ, তিন লাখ ও দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ, প্রতি সপ্তাহে নগদ উত্তোলনের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞা প্রায় এক মাস পর শিথিল করা হলো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দায়িত্ব থেকে বিরত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ৭ আগস্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়, গ্রাহকদের দৈনিক নগদ উত্তোলনের পরিমাণ সীমাবদ্ধ করতে।

সর্বশেষ সংবাদ

সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
আজ থেকে ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলার সীমা থাকছে না
গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার ১১ মাস, নিহত প্রায় ৪১ হাজার
নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক করার প্রস্তাব দিলো ঢাকা
আরও ৫০০ রোহিঙ্গা পালিয়ে এলো বাংলাদেশে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা থাক‌ছে না, রোববার থেকেই কার্যকর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম
আমিরাত থেকে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি, স্বাগত জানালেন সমন্বয়ক সারজিস ও হাসনাত
ভারতে গিয়ে পানি ছেড়ে দিয়েছে শেখ হাসিনা, বন্যার জন্য তিনি দায়ী: জয়নুল আবেদিন
বিএনপির ৮ নেতাকে অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি
হত্যা মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক কারাগারে
সাবেক ৩১ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপির পাচার করা ১ লাখ কোটি টাকার খোঁজে দুদক
পাঁজরের দুটো হাড় ভেঙে গেছে সালমান খানের
বিটিএসের টানে মাদ্রাসা থেকে পালানো ৫ ছাত্রীকে বগুড়া থেকে উদ্ধার
বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছো: সালমান শাহকে শাবনূর
সন্ধ্যায় দেশে ফিরবেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি
দুই নভোচারীকে না নিয়েই পৃথিবীতে ফিরে এলো বোয়িং স্টারলাইনার
রংপুরে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ছাত্রদলের