গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ২৬ জন নিহত
ছবি:সংগৃহীত
আবারও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস ও তার আশপাশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী । এই হামলায় অন্তত ৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার দক্ষিণ গাজার দুই শহরে ৩ বার বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েল।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ভোরের দিকে খান ইউনিসের একটি ব্যস্ত আবাসিক এলাকায় বোমা বর্ষণ করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই ২৬ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হন।
প্রথম হামলার কিছু সময় পর খান ইউনিস থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের শহর দেইর রাল বালাহে বোমা বর্ষণ শুরু করে বিমান বাহিনী। এ সময় নিহত হন ৬ জন ফিলিস্তিনি।
শনিবার বিকেলের দিকে শেষ খান ইউনিসে শেষ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলীয় একটি বাড়িতে ১৫ জন নিহত হন।
গত ৭ অক্টোবর ভোর বেলায় ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চলায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে।
হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে তাতে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। সেই অভিযান এখনও চলছে।
হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
খান ইউনিসের বাসিন্দা ইয়াদ আল জাইম রয়টার্সকে জানান, শনিবারের বোমা হামলায় তার ফুপু, ফুপাতো ভাই-বোন এবং তাদের সন্তানরা মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘হামাসের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো না। পুরোপুরি শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন তারা।’
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের মর্গের চত্বরে দাঁড়িয়ে জাইম যখন কথা বলছিলেন, সে সময় তার অদূরেই শোয়ানো ছিল শনিবার সকালের হামলায় নিহত ২৬ জনের লাশ।