এবার গাজার দক্ষিন অঞ্চলে হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের
ছবি: রয়টার্স
হামাসকে প্রতিহত করতে গাজার উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী । অঞ্চলটিতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ হাজার। এর মধ্যে শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যাই অন্তত ৫ হাজার। গাজার উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে হামলার পর এবার দক্ষিন অঞ্চলেও হামলার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল ।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, হামাসের যোদ্ধারা যেখানে আছে সেখানেই যাবে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি প্রয়োজন হলে গাজার দক্ষিণ দিকেও সেনাদের পাঠানো হবে ।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান তিনি।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজার উত্তরাঞ্চলের অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ওই সময় উত্তরাঞ্চলের জনবহুল গাজা সিটিসহ অন্যান্য এলাকা থেকে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী লাখ লাখ মানুষ দক্ষিণ দিকে সরে যাওয়ার পর— এখন ইসরায়েল বলছে তারা সেখানেও স্থল হামলা চালাবে।
দক্ষিণ দিকে হামলা চালানোর ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আমাদের অভিযান সম্পসারণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হামাস যেখানে আছে সেখানেই আমাদের অভিযান হবে; এমনকি গাজার দক্ষিণ দিকেও যাব আমরা।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এ অভিযান এমন সময় শুরু হবে যখন সময়, স্থান এবং অবস্থা আমাদের সেনাদের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।’
গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, গাজার দক্ষিণ দিকেও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এরমধ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র এ ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বেসামরিক সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, সেখানে বিমান থেকে লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আর ওই লিফলেটে তাদের উপকূলীয় শহর মাওয়াসিতে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে শহরটির আয়তন মাত্র ১৪ স্কয়ার কিলোমিটার।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান