বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের পাওয়ার কারে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। দ্বিতীয়বারের মতো জারি করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আন্তঃনগর, মেইল বা কমিউটার ট্রেনের পাওয়ার কারের বাইরে বা ভেতরে কোনো যাত্রী পাওয়া গেলে ওই পাওয়ার কারের চালককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সেজন্য চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের গত ৬ এপ্রিল স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনাপত্রে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনাপত্রে বলা হয়, পাওয়ার কারের যাত্রী পরিবহন প্রতিরোধ করতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ময়মনসিংহ, দেওয়নাগঞ্জবাজার, ভৈরববাজার, আখাউড়া, লাকসাম, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার স্টেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ারদের (এসএসএই) নজরদারি বাড়াতে হবে। এসব স্টেশনে আন্তঃনগর, মেইল, লোকাল এবং কমিউটার ট্রেনগুলো যখন যাত্রা বিরতি করবে তখন পাওয়ার কারের তাৎক্ষণিক ভিডিও চিত্র ধারণ করতে হবে। পাওয়ার কারে কোনো যাত্রী পাওয়া গেলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
আরও বলা হয়, সম্প্রতি সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর পাওয়ার কারে দায়িত্বরত পাওয়ারকার সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে অথবা যাত্রাবিরতি স্টেশন হতে গন্তব্য স্টেশন পর্যন্ত পাওয়ার কারে যাত্রী পরিবহন করছেন। এ ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পাওয়ার কারের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় যাত্রী পরিবহন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে করে যেকোনো সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সংঘটিত হয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে। পাওয়ার কারে যত্রতত্র যাত্রী পরিবহন প্রতিরোধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর এলাকায় ময়মনসিংহগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুনের ঘটনা ঘটে গত ৩ এপ্রিল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খুব বাজেভাবে ট্রেনের পাওয়ার কারটি পুড়ে যায়। এ ঘটনার পরে পাওয়ার কারে যাত্রী পরিবহন নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয় রেলের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে মহুয়া কমিউটারে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ রেলওয়ে।