সত্যিকারের মৎস্যকন্যা ভেসে উঠল সৈকতে
মৎস্যকন্যা বা মারমেইডের কথা আমরা অনেক শুনেছি। কিন্তু তা কেবল গল্পে আর কল্পনায়। এবার সত্যিকারের মৎস্যকন্যার দেখা মিলল পাপুয়া নিউ গিনির এক সমুদ্র সৈকতে। মৎস্যকন্যা বা মারমেইডের মতো দেখতে ফ্যাকাশে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত একটি প্রাণী যদিও এটি পুরোপুরিভাবে শনাক্ত করা যায়নি তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এটি একটি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ পাপুয়া নিউগিনির সৈকতে ভেসে এসেছে এক লম্বাটে সাদা মাংসপিণ্ড। এটির আকৃতি দেখতে অনেকটা কাল্পনিক ‘মৎস্যকন্যা’র মতো। এরই মধ্যে এটির ছবি ‘নিউ আয়ারল্যান্ডার্স অনলি’ নামের ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
লাইভ সায়েন্সের মতে এটি একটি গ্লোবস্টার । একটি অজ্ঞাত জৈব ভর যা উপকূলে ধুয়ে যায়। এই রহস্যময় প্রাণীটির উৎস চিহ্নিত করা কঠিন কারণ মৃতদেহের বেশিরভাগ অংশই পঁচে গেছে এবং বাকি অংশগুলো সমুদ্রের পানিতে ধুয়ে গেছে। যার ফলে প্রাণীটির মাথা এবং এর মাংসের বড় অংশ অনুপস্থিত।
এনআইও প্রতিনিধিরা লাইভ সায়েন্সকে বলেছেন, স্থানীয়রা দাফন করার আগে মৃতদেহটির আকার এবং ওজন সম্পর্কে কোনও তথ্য সংরক্ষণ করেননি। এমনকি এটার সঠিকভাবে পরিমাপও করা হয়নি। কোনো ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। যার কারণে প্রাণীটির সঠিক শনাক্তকরণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট অ্যানড্রিউজের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী বিশেষজ্ঞ সাসা হুকার লাইভ সায়েন্সকে বলেন, ‘এটি আমার কাছে বেশ পচে যাওয়া কোনো সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী মনে হচ্ছে, এটি তিমি হতে পারে, আবার ডলফিনও হতে পারে। এ ধরনের প্রাণী যখন মরে যায়, তখন এর ত্বক এমন সাদা হয়ে যায়।’