বাইডেনের পর আজ ইসরায়েল যাচ্ছেন ঋষি সুনাক
ছবি সংগৃহিত
অবরুদ্ধ গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইসরায়েলকে সার্বিক সহায়তার বার্তা নিয়ে তেল আবিব যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
গতকাল বুধবার একই বার্তা নিয়ে ইসরায়েল গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার সফর শেষ হতে না হতেই সেখানে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দুদিনের সফরে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তার ইসরায়েলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রেসিডেন্ট ইসাক হারজগের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে। খবর বিবিসির।
ওই অঞ্চলে দুদিনের সফরে তিনি আরও কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন বলে জানা গেছে। ডাউনিং স্ট্রীট জানিয়েছে, হামাসের হামলার জের ধরে ইসরায়েল ও গাজায় যে প্রাণহানি ঘটেছে তাদের প্রতি সমবেদনা জানাবেন ঋষি সুনাক।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিও আগামী কয়েকদিনে মিশর, তুরস্ক ও কাতার সফর করবেন। যুক্তরাজ্য এর আগে জানিয়েছিল, তারা একের পর এক হামলার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে এবং এর প্রতিকারে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
এদিকে গাজায় হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের কারণে চরম মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিশরের প্রেসিডেন্ট সেখানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে একটি সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে রাজি হয়েছেন। এতে ত্রাণবাহী ২০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারবে বলে জানা গেছে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাফাহ টার্মিনাল ব্যবহার করে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আহমেদ ফাহমি এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন।
সফর শুরুর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এক বার্তায় বলেন, 'প্রতিটি বেসামরিক মানুষের মৃত্যুই দুঃখজনক। হামাসের ভয়ঙ্কর হামলায় অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।'
গত মঙ্গলবার গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণে প্রাণহানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ঘটনার পর সংঘাত যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেই লক্ষ্যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নেতাদের কাজ করতে হবে। এ ধরনের প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য সবার আগে থাকবে।
গতকাল সুনাকের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে সাত ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ আছেন অন্তত নয় জন।