ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আরও ১৫০ রকেট ছুড়লো হামাস
ছবি সংগৃহিত
ইসরায়েলে হামলা চালানোর প্রথম দিনই কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। এরপর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। জবাবে গাজায় ব্যাপক মাত্রায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত ছয়দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এতে হতাহতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। তবে হামাস জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা তাদের জন্মস্থান ছেড়ে কোথাও যাবে না। এ ছাড়া ইসরাইলের আল্টিমেটাম উপেক্ষা করে দেশটিতে আরও অন্তত ১৫০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে সংগঠনটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জানিয়েছে, ইসরাইল যখন ভূমি থেকে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ফের রকেট হামলা শুরু করেছে হামাস।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জনিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত ও লক্ষ্যবস্তু করার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের আশকেলন শহরের দিকে ১৫০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও জর্ডানে বিক্ষোভ হয়েছে। শিয়া নেতা মোক্তাদা সদর এর আহ্বানে বাগদাদের তাহরির স্কায়ায়ে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়ে বিক্ষোভ করে এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেয়।
একইভাবে ইসরায়েল সীমান্তের দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শত শত জর্ডান নাগরিক। এর আগে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়।
ইসরায়েল প্রতিশোধ হিসেবে বিমান হামলা শুরু করার পর থেকে গাজায় এ পর্যন্ত ১৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে। আরও তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, গত শনিবার থেকে এ পর্যন্ত ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী গাজায় নিহত হয়েছেন।