৯ মে'র পর পিটিআই ছেড়েছেন ৬৮ নেতাকর্মী!
গেল ৯ মে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রেপ্তার হন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ ঘটনার একদিন পর ১১ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণা করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোকে ভর্ৎসনা করেন সুপ্রিম কোর্ট। তার পরদিন ১২ মে ইমরান খানকে ১৪ দিনের জামিন দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের এই ঘটনায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। খাইবার পাখতুনখাওয়া, পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান এবং ইসলামাবাদে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর সম্পত্তি ও স্থাপনায় আক্রমণ চালায় বিক্ষুব্ধ পিটিআই নেতাকর্মীরা। তিন দিনব্যাপী চলা এ সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন।
প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলার সঙ্গে জড়িতদের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে বিচার করতে সরকার এবং সামরিক বাহিনী সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে পিটিআই এর নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করা হয়।
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'ঘটনার পর থেকে, খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীসহ বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতা দল ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন এবং কিছু কিছু সামরিক স্থাপনায় হামলার জন্য খানের নীতিকে দায়ী করেছেন।'
সর্বশেষ পাওয়া সংবাদ অনুসারে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরী এবং শিরীন মাজারি এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৮ জন নেতাকর্মী পিটিআই ছেড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের ভয়েই দল থেকে নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করছেন।
এর মধ্যে পাঞ্জাব প্রদেশের ৪২ জন, খাইবার পাখতুনখাওয়া থেকে ১০ জন, সিন্ধ প্রদেশের ১৪ জন এবং বেলুচিস্তান থেকে ২ জন পদত্যাগ করেছেন।
/এএস