শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

কৃত্রিম পায়ে এভারেস্ট জয় করে নেপালি সৈনিকের বিশ্ব রেকর্ড

বলা হয় 'ওয়ান্স অ্যা সোলজার, অলওয়েজ অ্যা সোলজার', একজন সৈনিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সৈনিক। আর এ কথাটিই যেন অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ দিলেন নেপালের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হরি বুধামাগার। কৃত্রিম পায়ে ভর করে তিনি জয় করেছেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট, সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। তার এই অসাধারণ কৃতিত্ব বিশ্বব্যাপী শারীরিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন ব্যক্তিদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে।

বুধামাগার ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি যিনি হাঁটু পর্যন্ত কৃত্রিম পায়ে ভর করে এভারেস্ট জয় করেছেন। শুক্রবার (১৯ মে) বিকাল ৩টায় তিনি এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন।

এর আগে দুই পা নেই এমন ক্যাটাগরিতে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত কাটা পায়ে কৃত্রিম পা লাগিয়ে ২০১৮ এভারেস্ট জয় করে বিশ্ব রেকর্ড করেন চীনের শিয়া বোও। তখন তার বয়স ছিল ৬৯ বছর।

কৃত্রিম পায়ে এভারেস্ট জয় করার বেশ কয়েকটি ঘটনা থাকলেও হাঁটি পর্যন্ত কাটা পায়ে কৃত্রিম পা লাগিয়ে এভারেস্ট জয়ের ঘটনা এবারই প্রথম।

হিমালয় কন্যা নেপালেই বেড়ে ওঠা বুধামাগারের। কিশোর বয়স থেকেই স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয় করার। কিন্তু ২০১০ সালে আফগানিস্তানে ব্রিটিশ গুর্খার সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় উভয় পা হারান এই নেপালি সৈনিক। তারপরই ফিকে হয়ে আসে আজন্ম লালিত স্বপ্ন। সেই স্বপ্নে আরও বালি চাপা দেয় ২০১৭ সালে নেপাল সরকারের করা পর্বতারোহন নীতিমালা। সেই নীতিমালায় অন্ধ, উভয় পা প্রতিবন্ধী, এবং একাকী ব্যক্তির পর্বোতারোহন নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে ২০১৮ সালে এভারেস্টে আরোহনের ইচ্ছা থাকলেও তা ত্যাগ করতে হয়।

কিন্তু বিধাতা মনে হয় চাইছিলেন অন্য কিছু। সে সময় বুধামাগার এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এবং একে 'বৈষম্য' বলে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতে রিট করা হলে নেপাল সুপ্রিম কোর্ট রিটের অনুকূলে রায় দেন এবং ২০১৮ সালে আদালত নীতিমালাটি বাতিল করেন।

বুধামাগারের ঐতিহাসিক এ যাত্রার সবচেয়ে বড় বাধা আদালত তো সরিয়ে দিলেন বটে কিন্তু তার চেয়েও বড় সীমাবদ্ধতা ছিল তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। যা আদৌ জয় করা সম্ভব হবে কি না সে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বুধামাগার। কিন্তু 'সৈনিক সর্বদা সৈনিক' এই মন্ত্রে দীক্ষিত বুধামাগার পিছু হটেননি। শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অবশেষে তিনি পৌঁছে গেলেন এভারেস্টের চূড়ায়, দেখিয়ে দিলেন জয় লাভের অদম্য স্পৃহা থাকলে যে কোনো বাধাই অতিক্রম করা সম্ভব।

বুধামাগারের জন্ম ১৯৭৯ সালে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনী তে যোগদান করেন। সেনাবাহিনীতে তিনি একাধারে কমব্যাট মেডিক, স্নাইপার এবং কভার্ট সার্ভিলেন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসরে চলে এলেও বসে থাকেননি বুধামাগার। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েই নিজেকে গলফ, স্কি, স্কাই ডাইভিং, কায়াকি, রক ক্লাইম্বসহ বিভিন্ন খেলায় ব্যস্ত রেখেছেন। এমনকি তিনি হুইলচেয়ার রাগবি ও হুইলচেয়ার বাস্কেটবলও খেলেছেন। ইতিহাসে প্রথম উভয় পা বিহীন ব্যক্তি হিসেবে ২০ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় উঠে বিশ্ব রেকর্ডও করেছেন ৪৪ বছর বয়সী এই সৈনিক।

২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মন্ট ব্ল্যাঙ্ক (৪ হাজার ৮১০ মিটার), কিলিমানিজারো (৫ হাজার ৮৯৫ মিটার), চুলু ফার ইস্ট (৬ হাজার ৫৯ মিটার), মেরা পিক (৬ হাজার ৪৭৬ মিটার) পর্বত শৃঙ্গের চূড়ায় উঠে রেকর্ড করেছেন বুধামাগার এবং সবশেষ মাউন্ট এভারেস্টের (৮ হাজার ৮৪৮ মিটার) চূড়ায় উঠে বিশ্ব রেকর্ড করে আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলেন এই যুদ্ধাহত সৈনিক।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে বুধামাগার বলেছেন, 'আমার কল্পনার চেয়েও এটি অনেক বেশি কঠিন ছিল'

তিনি বলেন, 'আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য অক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তন করা এবং মানুষকে বাধা ডিঙিয়ে জয় লাভ করতে অনুপ্রাণিত করা। আপনার স্বপ্ন যতই বড় হোক না কেন, আপনার অক্ষমতা যতই চ্যালেঞ্জিং হোক না কেন, দৃঢ় মানসিকতা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।'

পরিবারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বুধামাগার বলেছেন, 'যখনই কোনো জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হই আমি আমার অসাধারণ পরিবারের কথা মনে করি যারা আমাকে পথ অতিক্রম করতে অনবরত সাহস জুগিয়েছেন।'

হরি বুধামাগারের অবিশ্বাস্য এই কীর্তি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, 'আত্মা কোনো বাধা মানে না'। জীবনে চলার পথ যতই জটিল হোক না কেন, যতই বাধা বিপত্তি থাকুক না কেন লক্ষ্য অর্জন করতে, বিজয় ছিনিয়ে আনতে বুধামাগারের জীবনের গল্প নিঃসন্দেহে অগণিত ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করবে।

/এএস

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি