শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অগ্নিগর্ভ মণিপুর, দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ

‘আমার রাজ্য মণিপুর জ্বলছে! পরিস্থিতি খুব খারাপ। দয়া করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন…’, বুধবার (৩ মে) কাতর আবেদন রেখেছিলেন মণিপুর তথা ভারতের গর্ব, বক্সিং তারকা মেরি কম। উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য, দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে, আগুন জ্বলছে, মোকাবিলায় রাস্তায় নেমেছে সেনা এবং আধাসেনা। কিন্তু তার পরেও সামলাতে গিয়ে নাকানিচোবানি খাচ্ছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যের বিজেপি সরকার। শেষমেশ বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাজ্য প্রশাসন হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, চরম পরিস্থিতিতে দেখা মাত্রই গুলি করা হবে।

মণিপুরের পরিস্থিতি যেন প্রতি মুহূর্তে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে । রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এবার খাস ইম্ফলের রাস্তায় উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়লেন রাজ্যের এক বিজেপি বিধায়ক । মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য সচিবালয় থেকে ফেরার পথে ভিংযাগিন ভালতে নামে এক বিধায়ক আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।

মণিপুরে সংঘাতের সূত্রপাত বুধবার থেকে। সেখানকার হাইকোর্ট সরকারের উদ্দেশে নির্দেশ দিয়েছে, মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি তালিকাভুক্ত করা যায় কি না তা বিবেচনা করতে। তারপরেই জনজাতি ছাত্রদের উত্তাল আন্দোলন মণিপুরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এমনই পরিস্থিতি যে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে মণিপুরের বিজেপি সরকার দেখা মাত্রই গুলি অর্থাৎ শ্যুট অ্যাট সাইট অর্ডার জারি করেছে।

বুধবার বিকালেই মণিপুরের বিজেপি সরকার অধিকাংশ জেলায় কার্ফু জারি করেছিল। কিছু জায়গায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল আগেই। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই বিষ্ণুপুর ও চুরাচাঁদপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে এন বীরেন সিংয়ের সরকার। তারমধ্যেই বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হলেন ভালতে। গতবারের বিজেপি সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। কুকি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তিনি। তার গাড়ির ওপরই এদিন চড়াও হন আন্দোলনকারীরা। বিধায়ক ও তার গাড়ির চালক আহত হন। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, মণিপুরের তিন পড়শি রাজ্য মিজোরাম, অসম ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন শাহ।

মণিপুরে রাজনৈতিক বা জাতিগত উত্তেজনা নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক এই উত্তেজনাকে জানতে পিছিয়ে যেতে হবে কয়েকটা বছর, খানিকটা মণিপুরের ভূগোলেও চোখ বোলাতে হবে।

ভারতের উত্তর-পূর্বের অন্যতম বৈচিত্র্যময় পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। এর ঠিক মাঝখানে রয়েছে প্রায় দুই হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এক উপবৃত্তাকার উপত্যকা, তাকে ঘিরে রয়েছে সুউচ্চ হরিৎ পাহাড়। এই উপবৃত্তাকার উপত্যকা আয়তনের দিক থেকে মোট রাজ্যের ১০ শতাংশ। কিন্তু জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ বসবাস করেন এখানে। যার বেশিরভাগই মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই জনজাতি। মণিপুর প্রায় ৩৪টি ছোট বড় নানা জনগোষ্ঠীর বাসভূমি। মেইতেইরা তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড়, মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ। তাদের অধিকাংশই এই উপত্যকা অঞ্চলে থাকেন। বাকি রাজ্যের ৯০ শতাংশ পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বাকি জনগোষ্ঠীর বসবাস। তাতে বসবাসকারী ৩৪টি জনগোষ্ঠীদের ‘নাগা’ অথবা ‘কুকি’— এই দুই ‘চিহ্নিত উপজাতি’-তে বিভক্ত করা হয়েছে। এই চিহ্নিত বা স্বীকৃত উপজাতিরা অত্যন্ত পরিশ্রমী, স্বাধীনচেতা এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার ফলশ্রুতিতে ধর্মে অধিকাংশই খ্রিস্টধর্মাবলম্বী।

এবারের সমস্যার শেকড়ে রয়েছে মেইতেই জনজাতির সঙ্গে কুকিসহ বিভিন্ন স্বীকৃত উপজাতিদের এক আইনি লড়াই। অকুস্থল— একেবারে মণিপুর হাইকোর্ট।

প্রায় এক দশক ধরে নানাভাবে মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইরা আইনিভাবে তফশিলি উপজাতি বা ‘শিডিউলড ট্রাইব’ (এসটি) তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের বক্তব্য, স্বাধীনতার আগে স্বাধীন মণিপুর রাজ্যে তাদের ‘উপজাতি’ হিসেবেই স্বীকৃতি ছিল। স্বাধীনতা ও তারপর ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে মণিপুরের অন্তর্ভুক্তির পর তাদের এই তকমা চলে যায়। ফলে জমি থেকে ঐতিহ্য, ভাষা, পোশাক সবখানে স্বকীয়তা বজায় রাখার যে সুবিধাগুলি তফসিলি উপজাতিরা পেয়ে থাকেন, তারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এই মর্মে তারা আবেদন রেখেছিলেন মণিপুর হাইকোর্টে। হাইকোর্ট সব আবেদন শুনে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীদের দাবিদাওয়া যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে রাজ্যের অবস্থান জানাতে। কিন্তু এতেই বেজায় চটেছেন মণিপুরের বাকি উপজাতিরা। তাদের বক্তব্য, এতে অন্যায়ভাবে সুবিধে পেয়ে যাবেন মেইতেইরা এবং তাতে আখেরে ক্ষতি হবে নাগা, কুকিসহ বাকি উপজাতিদের। এমনিতেই মেইতেইরা যথেষ্ট অগ্রসর। রাজ্যের বেশিরভাগ বসতি যেহেতু উপত্যকায়, বিধানসভার আসনও বেশিরভাগ ওখানেই। মেইতেইরাও বিধানসভায় প্রবলভাবে গরিষ্ঠ। মেইতেই ভাষাকে সংবিধানের বাইশটি সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া মেইতেইরা বেশিরভাগ হিন্দু হওয়ায় এমনিতেই তফশিলি জাতি (এসসি) বা অন্যান্য অনগ্রসর জাতি (ওবিসি) সংরক্ষণের সুযোগ পান। তারা তফশিলি উপজাতি-ভুক্ত হলে বাকি উপজাতিদের কাজের ক্ষেত্রে বা পড়াশোনায় বা চাকরিবাকরিতে যেটুকু যা সুযোগ-সুবিধে ছিল, তাও থাকবে না।

কুকি উপজাতিদের মুখপাত্ররা জানিয়েছেন, রাজ্যে কুকি-সহ বিভিন্ন উপজাতিদের দাবিদাওয়া মেইতেইদের দাপটে চাপা পড়ে গেছে। সংখ্যালঘু হিসেবে যেটুকু যা তাদের ন্যায্য পাওনা, এবার তা থেকেও তাদের বঞ্চিত করতে চায় মেইতেইরা। ফলে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে মিছিলের ডাক দিয়েছিল উপজাতি ছাত্রদের সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ মণিপুর’। যেখান থেকে সংঘাত তথা গৃহযুদ্ধের শুরু। এই হিংসার ঘটনায় তীব্র চাপের মুখে মণিপুরের বীরেন সিংহের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার।

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত