বিমানবন্দরে ফাইভ-জি চালু হলে বিমান চলাচল ব্যাহত হবে
যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ফাইভ-জি সেবা চালু হলে বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটবে। বিমানে ব্যবহৃত বেতার তরঙ্গ যথাযথ কাজ করবে না। বিশেষত অবতরণের সময় বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি বড় এয়ারলাইনস সতর্ক করেছে, ফাইভ-জি চালু করা হলে বিমান ফ্লাইট চলাচলে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে। কোম্পানিগুলো বলছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার থেকে মুঠোফোনে ফাইভজি চালু করার যে কথা রয়েছে। সেটা করা হলে এমন বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। উদ্বেগ জানিয়ে মার্কিন পরিবহনমন্ত্রী, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের পরিচালককে চিঠি দিয়েছেন আমেরিকান এয়ারলাইনস, ডেল্টা এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনসসহ ১০টি এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী।
বিমানের সময়সূচি ও চলাচলের জন্য বিমানবন্দরে থাকা সময়সূচি সমন্বয় করা হচ্ছে। এয়ারলাইনসগুলোর শঙ্কা, বিমানবন্দরের কাছে ফাইভ-জি চালু হলে সুরক্ষা ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
ফাইভজি মূলত বেতার তরঙ্গের ওপর নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্রে ফাইভ-জি সেবা দিতে যে স্পেকট্রামটি বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটি সি-ব্যান্ড নামে পরিচিত। এ তরঙ্গের অবস্থান উড়োজাহাজে উচ্চতা মাপার জন্য ব্যবহৃত রেডিও তরঙ্গের খুব কাছাকাছি। এর মাধ্যমেই ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। এয়ারলাইনসগুলো শঙ্কা করছে, ফাইভ-জির জন্য ব্যবহৃত বেতার তরঙ্গ উড়োজাহাজে ব্যবহৃত তরঙ্গের খুব কাছাকাছি হওয়ায় ফাইভজি চালু হলে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত বেতার তরঙ্গ যথাযথভাবে কাজ করবে না। এতে বিশেষত অবতরণের সময় ফ্লাইট চলাচলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন বিমানবন্দরগুলোর কাছে ফাইভ-জি চালুর পরিকল্পনা ছিল দুই কোম্পানি এটিঅ্যান্ডটি ও ভেরাইজনের।
মার্কিন বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে যৌথভাবে দেওয়া চিঠিতে দেশটির ১০টি এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহীরা বলেছেন, উড়োজাহাজে বিশ্বজুড়ে যাত্রী পরিবহন, পণ্য পরিবহন, সরবরাহ ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরবরাহের মতো কার্যক্রম চালাতে এ সমস্যা এড়াতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এসএন