দুর্বল ভবন নির্মাণের দায়ে তুরস্কে গ্রেপ্তার ২০০
চলতি মাসের শুরুর দিকে তুরস্কে আঘাত হানে ‘শতাব্দীর ভয়াবহতম’ ভূমিকম্প। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া দুর্বল ভবন নির্মাণের অভিযোগে দেশটিতে ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া সন্দেহের তালিকায় আছেন অন্তত ৬২৬ জন। এদের মধ্যে কয়েকজন ভূমিকম্পে মারা গেছেন। সন্দেহভাজনদের প্রত্যেকেই পুরোপুরি ভেঙে পড়া বা তীব্রভাবে ভাঙনের শিকার ভবনগুলো বাজেভাবে নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। পুলিশ অন্য সন্দেহভাজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের আইনমন্ত্রী বিকির বোজদাগ বলেছেন, কয়েক হাজার ভবনের প্রমাণাদিগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই ভূমিকম্পে ৫ হাজার ৭০০ এর বেশি ভবন ভেঙে পড়েছে বলেছে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ সংস্থা। এরপর থেকে আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে ভবনগুলো আইন অনুসারে ন্যায়সঙ্গতভাবে তৈরি করা হয়েছিল কি না এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
দেশটির রাজধানী ইস্তাম্বুলের বোগাজিজে ইউনিভার্সিটির ভূমিকম্প প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা এরদিক বলেছেন, ‘আমাদের সবচেয়ে আক্রান্ত করেছে ভবনগুলো ভেঙে পড়ার ধরন যেটিকে আমরা প্যানকেক স্টাইলে ভেঙে পড়া বলি। এই ধরনটি আমরা প্রকৌশলীরা দেখতে ভালোবাসি না। একটি ভাঙনে এই ধরনটি কঠিন, যেমনটি আপনারা দেখেছেন এখানে প্রাণ বাঁচানোর কাজও আমাদের খুব দুঃখ দিয়েছে। এটি অনুসন্ধান এবং উদ্ধার কার্যক্রমগুলোকেও খুব কঠিন করে দিয়েছে।’
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভূমিকম্পে তুরস্কে ৪৪ হাজার ২১৮ জন মানুষ মারা গেছেন। আর সিরিয়াতে মারা গেছেন ৫ হাজার ৯১৪ জন।
ভূমিকম্পে ১৫ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউএনডিপি। তাদের জন্য ৫ লাখ নতুন বাড়ি বানানো প্রয়োজন।
ওএফএস/