শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ফিলিপাইনে সামরিক ঘাঁটি বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিপাইনে আরও চারটি সামরিক ঘাঁটি বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়িড অস্টিনের সফরকালে এই অনুমতি প্রদান করেছে দেশটির রাজধানী ম্যানিলা। যুক্তরাষ্ট্রকে পুরো ফিলিপাইনজুড়ে সামরিক ঘাঁটি বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশ দুটি বলেছে, চীনের অহংবোধে দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক উন্নতি ঘটানো ও স্বশাসিত তাইওয়ানে উত্তেজনা বাড়ানোর প্রেক্ষিতে উদ্বিগ্ন হয়ে তারা এই চুক্তি করেছে।

দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে যৌথভাবে ঘোষণা করেছে, ওয়াশিংটনকে ২০১৪ সালের একটি এনহান্সড ডিফেন্স কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট (ইডিসিএ) বা একটি উন্নত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সমঝোতার অধীনে আরও চারটি নিরাপত্তা স্থান দেওয়া হবে।

ইডিসিএ’র অধীনে অবকাঠামোগত বিনিয়োগে বর্তমানে পাঁচটি স্থানে ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বরাদ্দ প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইডিসিএ ফিলিপাইনে মার্কিনীদের পাঁচটি নিরাপত্তা ঘাঁটিতে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম স্থাপন, বিমানের রানওয়ে তৈরি, তেলের গুদাম স্থাপন ও সামরিক আবাসন করতে সুবিধাগুলো প্রদান করেছে। তবে এই চুক্তি অনুসারে দেশটি সেখানে স্থায়ীভাবে থাকতে পারবে না।

গেল বছরের অক্টোবরে আরও পাঁচটি অতিরিক্ত সামরিক ঘাঁটি গেড়ে সেগুলোতে বিপুল মাত্রায় তার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রবেশ ও অস্ত্র স্থাপন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তবে আজকের বিবৃতিতে কোন অতিরিক্ত ঘাঁটিগুলো মার্কিনীদের ব্যবহারের জন্য প্রদান করা হতে পারে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। ফিলিপাইনের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল বার্তোলোমে বাকাররো এর আগে বলেছেন, ‘মাকিন যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের উত্তরের খন্ড লুজনে ব্যাপকভাবে, তাইওয়ানের সঙ্গে দেশের সবচেয়ে কাছাকাছি অংশ, পালাওয়ান দ্বীপের ঘাঁটিগুলো এবং দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের ছোট, ছোট বিতর্কিত দ্বীপগুলোতে প্রবেশ সেগুলোও ব্যবহারের অনুমতির জন্য অনুরোধ করেছে।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. অস্টিন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে তার সমকক্ষ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারলিতো গ্যালভেজের সঙ্গে বৈঠকের আগেই দেশের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

তিনি মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফিলিপাইনে এসেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়ান উপদ্বীপে তার দক্ষিণ কোরিয়ান মিত্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক হুমকিতে সাড়া দিতে অগ্রসর অস্ত্রগুলোর মাধ্যমে নিজের স্থাপনাগুলো বাড়াতে পারে। সেগুলোর মধ্যে থাকবে ফাইটার জেট ও বোম্বারগুলো। এগুলো দিয়ে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীগুলোর সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লয়িড অস্টিন ফিলিপাইনের শহর জামবুয়াঙ্গা সফর করেছেন। দক্ষিণের এই শহরে তিনি ফিলিপাইনের সেনা বাহিনীর জেনারেলদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি তাদের সন্ত্রাসে সাড়া দেওয়া ছোট একটি মিলিটারি কন্টিনজেন্টে গিয়েছেন। সেটি আছে স্থানীয়দের সামরিক ঘাঁটিতে বলেছেন ফিলিপাইনের আঞ্চলিক সামরিক কামান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রায় গালইদো। কয়েক বছর ধরে ১শর বেশি মার্কিন বাছাই সামরিক ব্যক্তিত্ব ও সেনা অফিসার কৌশলগত ও গোয়েন্দা এবং যৌথ পরামর্শগুলো প্রদান করছেন ফিলিপাইনের সেনা অফিসারদের, যাতে তারা দশকের পর দশক স্থায়ী স্থানীয় মুসলমানদের বিদ্রোহ ও সামরিক সন্ত্রাসকে আরো ভালোভাবে এবং কার্যকর উপায়ে মোকাবেলা করতে পারেন। ফিলিপাইন এই সশস্ত্র বিদ্রোহীদের স্বস্তিপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে আসতে পারলেও এখনো তারা একটি মৌলিক হুমকি হিসেবে রয়ে গিয়েছেন।

সর্বসম্প্রতি মার্কিন সেনা সদস্যরা তীব্র ও প্রসারিত যৌথ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছেন। তারা যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির দিকে জোর দিয়েছেন ও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মার্কিন কায়দায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে তাদের যৌথ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে দেশটির পশ্চিমের উপকূলভাগে। এই অংশটি চীনের দক্ষিণ সাগরের মুখোমুখি। এছাড়াও উত্তরের লুজন অঞ্চলে সাগরের ভেতর দিয়ে, যেটি তাইওয়ান প্রণালীর কাছে।

২০২১ সালের নভেম্বরে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ফিলিপাইন সফর অনুসরণ করে এসেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কমলা হ্যারিস সামরিক স্থাপনা পালাওয়ানে থেমেছিলেন।

ফিলিপাইন ও তাদের আসিয়ানের সদস্যভুক্ত দেশ ব্রুনাই, মালায়শিয়া ও ভিয়েতনাম তাইওয়ানের সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক উত্তেজনার মোকাবেলা করছে। সাগরের অধিকার নিয়ে চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনের যুদ্ধ বেঁধে গেলে তাদের সামরিক সদস্যদের সাহায্য করতে দেশটিতে এসেছেন মার্কিন সামরিক সদস্যরা। সেজন্য তাদের বিমান ও জাহাজগুলো এখানে রয়েছে।

এই আমেরিকারদের দেশের বাইরে সবচেয়ে বড় সামরিক অতিথি দেশ এখন ফিলিপাইন। তবে ৯০’র দশকের শুরুর দিকে ফিলিপাইনের সিনেট মার্কিন বিস্তার করতে অস্বীকার করে বিল পাশ করলে মার্কিনীরা তাদের এই সামরিক ঘাঁটিগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তবে ১৯৯৯ সালের ভিজিটিং ফোর্স এগ্রিমেন্টের অধীনে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী ফিলিপাইনের সামরিক সদস্যদের সঙ্গে বড় আকারের যুদ্ধকালীন মহড়া শুরু করতে ফিরে এসেছে ফিলিপাইনে। তবে ফিলিপাইনের সংবিধান বিদেশী সেনা সদস্যদের স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি এবং স্থানীয় যুদ্ধে তাদের জড়িত হতে নিষিদ্ধ করেছে।

ওএফএস/এএস

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টবল শামীম হোসেন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সহকর্মীরা শয়নকক্ষের জানালা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত শামীম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাশেম আলীর ছেলে। তার কনস্টবল নং ৫৩২।

চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই রমজান আলী জানান, শামীম হত অক্টোবরে দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই গত ৬ মাস ধরে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষে বাস করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কয়েকজন সহকর্মী খোঁজ নিতে গেলে শামীম হোসেনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা -জীবননগর) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বেলা ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ কনস্টেবল শামীম হোসেন ২০১৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে।

Header Ad
Header Ad

দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিষ প্রয়োগ করে দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে সানজিদা (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন নিহত কিশোরীর স্বজনেরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত কিশোরীর মামা ফজলুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে ওই কিশোরীর মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামাণিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মামা হামিদুল প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্য ফজলুর রহমান বলেন, নিহত কিশোরী সানজিদা আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে। সানজিদা উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে সৗদি আরবে ও আরব আমিরাতে (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল বসতবাড়ির বসতভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতেই সানজিদা ও তার মা বসবাস করতো। পরে ওই জায়গায় পাকা বাড়ি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলে শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধ সাজে। সানজিদার দাদা শামসুলকে বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গায় বাড়ি করার জন্য বলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। সানজিদার বাবা ও ভাই বিদেশে থাকায় বাড়ি করা নিয়ে বিরোধের জেরে সানজিদা ও তার মায়ের সঙ্গে তাঁর দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এই কলহের জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল হত্যার উদ্দেশ্যে গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তাঁর শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে মোসলেম মন্ডল ও সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সকালে সানজিদা প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘোষগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ে যায়। প্রাইভেট পড়ে সে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে একপর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর ইনজেকশন প্রয়োগ করে। তারা সানজিদাকে হুমকি দিয়ে বলে এ কথা কাউকে বললে তার মতো বাবা ও ভাইকেও হত্যা করবে। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মেয়েকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সানজিদার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মোসলেম ও সাজিমের ফাঁসি দাবি করা হয়।

সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গেছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। সেখানেই নিহত কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম