সু চির বিরুদ্ধে আরও ৫ দুর্নীতির অভিযোগ
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে নতুন করে আরও পাঁচটি দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছে জান্তা সরকার। এরমধ্যে হেলিকপ্টার ভাড়া দেয়া ও কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির মত অভিযোগও রয়েছে।
গেল ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্দি রয়েছেন গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সু চি। এক ডজনের বেশি মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় অন্তত তাকে অন্তত ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বিশেষ আদালত। এবং নতুন আরও ৫টি দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিটি অভিযোগের জন্য ১৫ বছর করে কারাভোগ করতে হবে সু চিকে।
তবে এসব অভিযোগের কোনটিই স্বীকার করেননি সু চি। এমনকি বিশেষ আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ বা বিচার প্রক্রিয়াসহ কোন তথ্যই সামনে আনেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ১০ জানুয়ারি অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার মামলায় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এর আগে করোনার বিধিনিষেধ অমান্যসহ আরেকটি মামলায় ডিসেম্বরে সুচিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তা কমিয়ে দুই বছর নির্ধারণ করে আদালত।
মিয়ানমারের স্বাধীনতাসংগ্রামের নায়কের মেয়ে সু চি। তিনি দেশ-বিদেশে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী হিসেবে পরিচিত।
মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সু চি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেন। জান্তা শাসনের বিরোধিতা করার জন্য তাকে বছরের পর বছর গৃহবন্দী থাকতে হয়।
২০১০ সালে সু চি মুক্তি পান। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভূমিধস জয় পায়। তার দল সরকার গঠন করে।
গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সু চির দল আবার বড় জয় পায়।
কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনী সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা সু চির বেসামরিক সরকার উৎখাত করে। দেশটিতে জারি করে জরুরি অবস্থা।
একই সঙ্গে সামরিক জান্তা সু চিসহ দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং সুচির মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। চলমান আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন।
কেএফ/