সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দক্ষিণ কোরিয়াতে ভয়াবহ শ্রমিক ধর্মঘট চলছে

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হাজার, হাজার বিক্ষোভকারী শ্রমিক সমাবেশ করছেন। শনিবার (৩ নভেম্বর) তারা পদযাত্রা করে চলে এসেছেন রাজধানীতে। তারা ধর্মঘটে অংশে নেওয়া হাজারের বেশিট্রাককেও কাজে ফেরত নিয়ে যাবার বিপক্ষেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এই বিক্ষোভের শুরু মালবাহী ট্রাকের খবর বাড়ানোর বিপক্ষে।

জাতীয় সংসদের পাশে তাদের বিক্ষোভ চলছে। তবে এখানে গুরুতর কোনো সংঘাতের খবর এখনো ছাপা হয়নি। বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই দ্য কোরিয়ান কনফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসগুলোর সদস্য।

তারা প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়ল সরকারের বিপক্ষে শ্রমিকদের শোষণ পরিবর্তন না করার মনোভাব, তেলের খরচ বেড়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছানো, ট্রাক ড্রাইভারদের কঠিন ও বিরামহীন কর্মপরিবেশ এবং আর্থিক দৈন্যতার অবসানের জন্য এই শ্রমিক ধর্মঘট ও সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সরকার ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ২ হাজার ৫০০ সিমেন্ট ট্রাককে কাজে ফিরে যেতে আদেশ দিয়েছেন। জাতীয় অর্থনীতিতে তীরের মতো আঘাত করছে তাদের কর্মে যোগদান না করা। তবে এরপর কত ট্রাক কাজে ফিরে গিয়েছে সেই খবর এখনো ভালোভাবে জানা যায়নি। কেননা তাদের ইউনিয়ন ধর্মঘট চালিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছে।

সিমেন্টবাহী ট্রাকের পাশাপশি কয়েক হাজার কার্গো ট্রাক তাদের সংগঠনগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে গেল সপ্তাহ থেকে ধর্মঘট করছে। ২০২২ সালে শেষ হওয়া নুন্যতম সরকারি মজুরি বহাল রাখার বিপক্ষে তারা আন্দোলন করছেন। তারা জীবনযাপনের জন্য একটি নূন্যতম মজুরি প্রদানের দাবি করছেন।
মালবাহী কন্টেইনারের শ্রমিকরাও এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন।

এই কারণে দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কেননা, সিমেন্ট ও শিপিং কনটেইনারের চালক এবং শ্রমিকরা অন্যান্য কার্গোগুলোতে তাদের দাবি করা মজুরি এবং সুবিধাদির জন্য বিক্ষোভ করছেন। এর ফলে এই শ্রমিক ধর্মঘটে তেলবাহী ও কেমিক্যাল ট্যাংকারগুলোও যোগ দিতে পারে।

বিক্ষোভে যোগ দিতে পারে স্টিল ও অটোমোবাইল ক্যারিয়ারগুলো এবং প্যাকেজ মালামাল আনা-নেওয়া করা ট্র্যাকগুলো। তারা সবাই বৃহত্তর ঐক্যমতের ভিত্তিতে এই আন্দোলনে যোগদানের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে সরকারী কর্মকর্তাও উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। ফলে বন্দরগুলোতে কন্টেইনার ট্রাফিকগুলো স্বাভাবিক অবস্থার ৮১ শতাংশে আবার পৌঁছাতে পেরেছে শনিবার সকালে।

গেল সপ্তাহে মোটে প্রায় ২০ শতাংশ কন্টেইনারগুলোকে তারা বন্দরগুলোতে আনতে পেরেছিলেন। এই তথ্যগুলো প্রদান করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমি, পরিকাঠামো এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। তারা আরও জানিয়েছেন শনিবার থেকে প্রায় ৫ হাজার ট্র্যাক ধর্মঘটে যোগদানরত অবস্থায় রয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার তাদের বির্তকিত ২০০৪ সালের একটি আইনানুসারে ট্র্যাকগুলোর চালক ও কর্মীদের তাদের চাকরিতে ফেরত যেতে নির্দেশ দিয়েছে।

এই আইনে সমর্থনযোগ্য কোনো কারণ ব্যতিরিকে কাজ না করলে বা নিয়ম ভাঙলে তিন বছর পর্যন্ত জেল বা সর্বোচ্চ ৩০ মিলিয়ন ইয়েন জরিমানার আদেশদানের অধিকার রয়েছে আদালতের। টাকার অংকে তা ২২ হাজার ৪শ মার্কিন ডলার। শহরগুলো থেকে জানানো হয়েছে, একটি ধর্মঘটে কী ধরণের গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সেটি পরিস্কারভাবে সংবিধানে নেই। শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, তারা সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করছেন। অন্যদিকে সরকারী কর্মকর্তারা আইন লংঘনের অভিযোগ করছেন। শহরে, শহরেও শ্রমিকদের বিক্ষোভ ছড়িয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা সবার আগে সিমেন্ট ট্রাকগুলোর চালক ও কর্মীদের কাজ শুরু করার নির্দেশ জারি করেছেন। কেননা নির্মাণ খাত তাদের মালামাল প্রাপ্তিতে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে। তাদের কাছে মাল পৌঁছাচ্ছে না বলে মুখ থুবড়ে পড়েছেন। তারা আশা করছেন, ট্র্যাকগুলোর চালকদের মালামাল আনা-নেওয়ার জন্য পরিবহন বাবদ তেল খরচ সরকারি বিশেষ নির্দেশে প্রদানের আদেশটি এরপরের ধাপে লাভ করবেন। তারা আরো বিবেচনা করবেন যে, গ্যাস স্টেশনগুলোতে জ্বালানির সংকট চলছে।

এই ধর্মঘট দক্ষিণ কোরিয়ার দেশীয় শিল্পখাতকে প্রবলভাবে আক্রান্ত করেছে। তবে রপ্তানি নির্ভর শিল্পকারখানাগুলোও অচল হয়ে গিয়েছে কি না এই বিষয়ে কোনো পূর্ণ তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। শ্রমিকরা তাদের নূন্যতম আর্থিক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রদানের জন্য দাবি করছেন। তারা বলছেন এই বিষয়গুলোর সমাধান না করে তাদের জোর করে গাড়ি চালানোর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

ওএফএস/

 

Header Ad

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকরা সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিতে বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।

আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে (secretary@hsd.gov.bd, cc: admin1@hsd.gov.bd) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি বা কপি পাঠাতে হবে। আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা বা খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে। অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১ নম্বর থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণের ভিত্তিতে বিদেশে সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

Header Ad

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর

ছবি: সংগৃহীত

শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। ঢালিউড সিনেমার দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্কটা কেমন, সেটা একেবারেই অজানা নয় ভক্তদের। বর্তমানে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বৈরিতায় রূপ নিয়েছে।

সবশেষ শবনম বুবলীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার কোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। দিনটিতে পরিবারের মানুষদের নিয়েই ঘরোয়া পরিবেশে কেক কেটেছেন তিনি। সেই মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। যেখানে ভালোবাসা জানিয়েছেন ভক্তরা।

তবে বুবলীর জন্মদিনের তিনদিন পর রোববার (২৪ নভেম্বর) অপু বিশ্বাস ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘লেট পোস্ট। হ্যাপি টয়লেট ডে, ২০ নভেম্বর।’ সঙ্গে একটি অট্টোহাসির ইমোজি জুড়ে দেন তিনি।

সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বুবলীর জন্মদিন নিয়েই ঠাট্টা করেছেন এই নায়িকা। যেটা বুঝতে কষ্ট হয়নি ভক্তদের। কারণ ২০২২ সালেও বুবলীর জন্মদিনে খোঁচা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। ওই বছর বুবলী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাকিব খানের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি।

সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো হাসির ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা’! চুপ থাকেননি বুবলীও। দুজনে জড়িয়ে পড়েন ভার্চুয়াল যুদ্ধে। একজন অন্যজনকে নিয়ে নানা রকম কটু মন্তব্যও করেন।

সেই ঘটনার দুই বছর পর আবারও বুবলীর জন্মদিনে তাকে খোঁচা দিতে গেল অপু বিশ্বাসকে। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি নায়িকার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি।

অপুকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখেছেন, বুবলীকে নিয়ে আপনার হিংসা কমছে না। কারো মন্তব্য, আপনাদের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। কেউ আবার অপুর মানসিকতার ধরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর একই বছরের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারে ২০২০ সালের ২১ মার্চ সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয়। এর কয়েক বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদের খবর শোনা যায়।

Header Ad

কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে একটি ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, বরং এটি পাক আর্মির আদলে হওয়ায় নিজেই এটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভাস্কর অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী ওরফে জোসি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনাটিকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবে এটিকে একটি মহল রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ভাস্কর্যটির ঠিকমতো রূপ দেওয়া যায়নি। তাই এটি কাজে লাগানোর সুযোগ নেই। তাই ওয়েস্টেজ (অপচয়) হিসেবে আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। রোববার আবার ফেরত নিয়ে এসেছি।

কিন্তু এই প্রচারণাকে অসত্য ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিকস ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এক যুগ আগে নওগাঁর জেলা পরিষদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারের কথায় ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু শর্ত না মেনে নির্মাণ করায় তারা এটি গ্রহণ করেনি। পরে তাদের রড-সিমেন্ট দিয়ে আরেকটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু অনুষদের পেছনে মেহেরচণ্ডী মধ্যপাড়ায় তার নিজের স্টুডিওতে রাখা ছিল এটি। নিজের জায়গাতেই এ স্টুডিওটি। এখানে নানা শিল্পকর্ম নির্মাণ করেন ড. আমিরুল মোমেনীন।

ড. আমিরুল মোমেনীন আরও বলেন, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাস্কর্যটিও কর্তৃপক্ষ পছন্দ করেনি। এ জন্য হস্তান্তর করা যায়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে রাখা আছে। কিন্তু এখন স্টুডিওর এই জায়গাটি বিক্রির চেষ্টা করছি। তাই স্টুডিওর সব ওয়েস্টেজ বিক্রি করে দিচ্ছি। কয়েক দিন আগে কয়েকজন এসে বলল, মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কিনতে চায়। তাদের কাছে ভাঙারি লোহার মতো কেজি দরে নামে মাত্র টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আমি তখন জানতাম না তারা ভাঙারির দোকানের জন্য কিনছে। পরে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি এ ঘটনা। তারা আসল ঘটনা না জেনেই এগুলো লিখেছে। আমি কখনোই কাউকে বলিনি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য বিক্রি করা বা রাখা যাবে না। বর্তমান সরকার তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নয়। আর কোথাও এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। আমি এটার প্রতিবাদ করছি।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্টের পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব নয়, তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন ভাস্কর ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী এমন সংবাদে গেল কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ছবিটি পোস্ট করে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে। ছবিটি শেয়ার করে তীর্যক কবিতা লিখে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনও।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি