বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গৌতম আদানির নির্মাণাধীন নৌবন্দরে হামলা

একটি নৌবন্দরের নির্মাণে জেলেদের বাধাদানের সময় তাদের সমর্থনে এগিয়ে একজন আর্চবিশপ ও কয়েকজন যাজকের বিপক্ষে সহিংসতার পুলিশের অভিযোগের তদন্তের নিন্দা জানিয়েছে ভারতের একটি গির্জা।

ভারতের কমিউনিস্ট শাসিত একমাত্র রাজ্য কেরালার রাজধানী তিরুভনন্তপুরমের একটি অঞ্চল ভিজানজামেতে নতুন এই নৌবন্দরটি তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে নদীতে মাছ ধরা জেলেদের অভিযোগ, বন্দরটির পেছনে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হচ্ছে এবং বন্দরটি তাদের মাছ ধরার ক্ষেত্রগুলোকে আক্রান্ত করেছে, উপকূলীয় ক্ষয়ের কারণ হয়েছে ও তাদের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মধ্যে ফেলছে।

বিশ্বের তৃতীয় ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন। কেরালার পুলিশ সোমবার ৩ হাজার প্রতিরোধকারীর বিপক্ষে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের মধ্যে আছেন তিরুভনন্তপুরমের আর্চবিশপ থমাস জে. ন্যাটো ও কয়েকজন সিনিয়র ফাদার।

তারা তিরুভন্তম ক্যাথলিক আর্চডায়াসিসের অংশ। তাদের বিপক্ষে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার আরও অভিযোগ, তাদের ভিজানজামের একটি পুলিশ স্টেশনে আক্রমণে যোগসাজশ আছে। রবিবার শেষের দিকে হামলায় ২৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এই জেলেরা একটি গণপ্রতিরোধের ডাকের মাধ্যমে স্টেশনটিতে আক্রমণ করেছেন পাঁচজন মানুষকে ছিনিয়ে নিতে, যাদের বিপক্ষে পাশের সাগরের ওপর নির্মাণাধীন নৌবন্দরটির নির্মাণ কাজ ব্যর্থ করে দেবার অভিযোগ রয়েছে। এই প্রতিরোধকারীদের গির্জাটি সমর্থন করেছে।

তবে দি ল্যাটিন ক্যাথলিক আর্চডায়াসিসের ফাদার এডিসন দ্য ন্যাশনালকে বলেছেন, ‘মানুষজন স্টেশনটিতে মানুষগুলোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য গিয়েছিল। কিছু মানুষ পাথর ছুঁড়তে শুরু করল। ফলে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে লাগলো। সেটি ঘুরে গেল ক্যাথলিকদের ওপর...তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। যাজকরা এই পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিলেন না।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘যাজকরা মানুষের অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের প্রতি সুবিচার চাইছেন। এটি গরীব ও ধনীর একটি লড়াই। মানুষকে আইনে বন্দী করা বেআইনি মনে হচ্ছে এবং যাজকদের প্রতিও, যারা মানুষদের অধিকার প্রদানের জন্য প্রতিরোধ করছেন।’

শত, শত জেলে, যারা এই জেলে সমাজের মানুষ, তারা একেবারে গরিব; তারা তাদের উপকূলরেখা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন করা সম্পন্ন হয়েছে-এই অভিযোগে গৌতম আদানির বিপক্ষে নেমেছেন।

শনিবার শেষের দিকে পুলিশ সেই পাঁচজনকে ডিটেনশনে নিয়েছে। তারা একটি সহিংসতার মাধ্যমে এই বন্দরের বিরুদ্ধে এবং বন্দর নির্মাণের বিরুদ্ধে নেমে সংঘর্ষ করেছেন। তারা ২৪টিরও বেশি লরিকে আটকে দিয়েছেন। সেগুলোকে বন্দরের নির্মাণ সামগ্রী রয়েছে। সেগুলোকে তারা বন্দর এলাকার মধ্যে ঢুকতে দেননি।

যদিও কেরালার হাইকোর্ট আবারও নির্মাণ কাজটি শুরু করার আদেশ জারি করেছিল। পুলিশ তাদের অভিযোগে আরো জানিয়েছে, এই ৩ হাজারের বেশি জনতা পুলিশ স্টেশনটির ওপর হামলে পড়েছে শনিবার শেষের দিকে। তারা তান্ডব চালিয়েছে এবং পুলিশের যানবাহনগুলো পুড়িয়েছে। দুই ডজনের বেশি পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। তারা আটকদের ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেছে।

পুলিশ লাঠি (ব্যাটন) চার্জ করেছে ও কয়েকটি টিয়ার গ্যাসের সেল ছুঁড়েছে, যাতে এই উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া সম্ভব হয়। তারা তাদের লক্ষ্য করে বন্দরের পাথর ছুঁড়েছে এবং শিলাবৃষ্টির মতো পুলিশ অফিসারদের উপরও পড়েছে।

পুলিশের কর্মকর্তা রামু পিভি বলেছেন, ‘আমাদের অফিসারদের আটজন আহত হয়েছেন। ইনপেক্টরদের একজনকে তার পায়ের অপারেশনের জন্য সার্জারিতে যেতে হয়েছে। তার পা আক্রমণটিতে ভেঙে গিয়েছে।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এই স্টেশনে আমাদের ৮০ জন অফিসার ও বিভিন্ন পদের পুলিশ সদস্য ছিলেন। তারা প্রায় সন্ধ্যা ৬টায় আমাদের আক্রমণ শুরু করেছে। পরের তিনটি ঘন্টা তারা টানা আক্রমণ করেছে। এরপর অতিরিক্ত বাহিনী এলো এবং তারা অ্যাকশনে নামলেন। আমি সেখানে ছিলাম। তারা বৃষ্টির মতো পাথর ছুঁড়েছে, কাঠের টুকরো মেরেছে। আমরা ক্যাথলিক ধর্মযাজকদের আসামী করেছি। কারণ তারা তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।’

স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ফুটেজগুলোতে দেখা গিয়েছে, সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন ও তাদের রক্ত ঝরছে।

পুলিশ এবং দাঙ্গাবিরোধী অতিরিক্ত সদস্য সেই এলাকাতে প্রেরণ করা হয়েছিল। যাতে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন, গণমাধ্যম জানিয়েছে রাজ্য সরকারের মারফতে। তবে পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।

তবে গির্জার পক্ষে ফাদার এডিসন পুলিশের পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছেন এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘যখন পুলিশবাহিনী কোনোখানে থাকে, সেখানে একত্রে ৩ হাজার মানুষ থাকতে পারে না। আমরা একটি তদন্ত চাই ও নজরদারি ক্যামেরাগুলোর বিশ্লেষণ চাই যে, আসলে কী ঘটেছে। কীভাবে এর শুরু হয়েছে। মানুষকে কেবল অভিযুক্ত করা হচ্ছে তা চাই না।’

সরকারী কর্তৃপক্ষ সেই অঞ্চলে এক সপ্তাহের জন্য যেকোনো ধরণের নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছেন। নৌবন্দর বিরোধী প্রতিরোধকারীদের বেশিরভাগই স্থানীয় এবং জেলে, তাদের নেতৃত্ব প্রদান করে লাতিন গির্জাটি।

তারা আগস্ট থেকে এই প্রকল্প বিরোধী। তাদের দাবি, একটি স্থগিত পরিবেশগত পর্যালোচনা কার্যকরের পর কার্যক্রমটি করা উচিত। পরিবেশগত পর্যালোচনাটি উপকূলীয় এলাকাটির বাস্তুসংস্থানের ওপর প্রভাব নিয়ে করা হয়েছে।

২০১৫ সালে এই প্রকল্পটি নিমাণ শুরু করার জন্য অনুমোদন করা হয়েছে। তবে বারবার স্থানীয় সমাজগুলোর মানুষরা দেরি করিয়ে দিয়েছেন। তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন। একদল আছেন বন্দরের পক্ষে, আরেকদল বিপক্ষে।

প্রতিরোধকারীরা একটি বিরাট পাথরের প্রতিরোধ তৈরি করেছেন এবং এর মাধ্যমে প্রধান বন্দর এলাকায় প্রবেশ বন্ধ করেছেন। যেটি প্রধান আন্তর্জাতিক জাহাজ পথের অর্ন্তভুক্ত।

রাজ্য সরকার ও উন্নয়নকারী পরিবেশগত বিপর্যয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা এই মামলাটিকে কেরালা হাই কোর্টে নিয়ে গিয়েছেন। গেল সপ্তাহে আদালত আদেশ দিয়েছেন, অবশ্যই প্রতিরোধকারীরা নির্মাণকাজ ধ্বংস করতে পারবেন না এবং তাদের জীবন-জীবিকার অধিকার প্রদানও করতে হবে।

ওএফএস/

Header Ad

যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে এআই মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সব কাজেই এআই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এআই। এআই ইন্টেলিজেন্সি রোবট দিয়ে এখন কত কিছুই না করা হচ্ছে পৃথিবীতে। নিউজ প্রেজেন্টার থেকে শুরু করে স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই।

তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন দিন দিন যেন এআই মানুষের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে। পেশা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। একটা সময় বিশ্বে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার কারণ হবে এআই। তবে গুগল বলছে, এআই সব জায়গায় মানুষের বিকল্প হতে পারবে না। যেমন: কোডিং। এখন পর্যন্ত এআই সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেনি।

সম্প্রতি টেক জায়ান্ট সংস্থার নিউ ইয়র্কের অফিসে বসে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মাতিয়াস বলেন, সবাই কোডিং শিখতে হবে। তিনি আরও বলেন, শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে শেখাটা বরাবরের মতোই এখনো গুরুত্বপূর্ণ। এআই নির্দিষ্ট কাজে সাহায্য করতেই পারে। তবে তা প্রাথমিক স্তরে। কিন্তু সমগ্র কোডিং প্রক্রিয়াকে দখল করতে তার এখনো অনেক সময় লাগবে।

তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এআই তো এরই মধ্যে কোড লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর উত্তরও দিয়েছেন মাতিয়াস। জানিয়েছেন, এআই কোড লিখলেও তা খতিয়ে দেখার ভার মানুষদেরই। সুতরাং কোডিংয়ের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া বিষয়টি এখনও এআইয়ের নাগালের বাইরে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডেভেলপাররা যে চাপে পড়েছেন তাও মানছেন মাতিয়াস।

Header Ad

প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, প্রবাসীরা যেসব দেশে আছেন সেখানে স্বল্প পরিসরে কিছু ইলিশ পাঠানো যায় কিনা সে বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের প্রবাসীরা আছে। এর মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় যেসব এলাকায় আমাদের বাঙালিরা আছে, সেখানে কিছু ইলিশ যায়। এখন আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, এ বছর ইলিশ মাছের আহরণ গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তার একটি অন্যতম কারণ ছিল সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া। তাছাড়া ভারত থেকে অবৈধভাবে ট্রলার ফিশিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ আহরণ করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তবে, এ বছর আমাদের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং নৌ পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কিছু ভারতীয় ট্রলার এবং জেলে আটক করতে পেরেছে।

সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ে কাজ করবে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, বাজারে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১৫০০ টাকা থাকায় এখনো সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ইলিশের দামের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী এবং দাদন-ব্যবসাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে (সরকার)।

Header Ad

সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

শারমিন আক্তার সুপ্তার প্রথম সেঞ্চুরি হয়েও আর হলো না। ৯৬ রান করে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো লম্বা সময় পর ওয়ানডে দলে ফেরা সুপ্তার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলল স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ ম্যাচে নিজেদের ওয়ানডে সংস্করণের সর্বোচ্চ ইনিংসের দেখা পেয়েছে নারী দলের ক্রিকেটাররা।

ম্যাচের সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন শারমিন সুপ্তা। ফারজানা হকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড গড়তেও পারতেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম হান্ড্রেডের মালিক হতে পারতেন। তবে শেষ পর্যন্ত নার্ভাস নাইনটিজে কাটা পড়েছেন সুপ্তা।

সাজ ঘরে ফেরার আগে এই ব্যাটারের ৮৯ বলে ৯৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটা ঠিকই পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তুলেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

ওয়ানডেতে এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড ছিল ২৫০। যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সংগ্রহ করে টাইগ্রেসরা। তবে এবার আইরিশ মেয়েদের বিপক্ষে ২৫২ রানের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।

আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপে চোখ রেখে ঘরের মাঠে আইরিশ মেয়েদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

ব্যাট করতে নেমে উইকেট অক্ষত রাখতে পারলেও শুরুর দিকে বেশ মন্থর ছিলেন ব্যাটাররা। দুই ওপেনার ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুনের উদ্‌বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৯ রান। তবে ততক্ষণে ১৮ ওভারেরও বেশি খেলা শেষ হয়ে যায়।

৬১ বলে ৩৮ রান করে মুর্শিদা আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। তবে অন্য প্রান্তে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ফারজানা হক। চার বাউন্ডারিতে ১১০ বলে ৬১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক জ্যোতিকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকেন শারমিন সুপ্তা। রানের গতিও বাড়ছিল।

বাংলাদেশের ইনিংসে সাধারণত এক উইকেট পড়লে পরপর আরও কয়েকটি পড়ে যায়। আজ এ জায়গায় বেশ নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিক মেয়েদের। এদিন ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি জ্যোতি। ২৮ বলে সমান সংখ্যক রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক।

অন্য প্রান্তে ইতিহাসের হাতছানি ছিল সুপ্তার সামনে। ইনিংসের ৪৯ তম ওভারে ফ্রেয়া সার্জেন্টের বলে আর্লেন কেলির হাতে ক্যাচ আউট হয়ে সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয় শারমিন সুপ্তার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪টি চারের মারে ৮৯ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার।

শেষ দিকে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা আক্তার (১৩) ও সুবহানা মোস্তারি (৫)। আইরিশ মেয়েদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেছেন ফ্রেয়া সার্জেন্ট।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ