সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার মামলায় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর আগে করোনার বিধিনিষেধ অমান্যসহ আরেকটি মামলায় ডিসেম্বরে সুচিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পরে তা কমিয়ে দুই বছর নির্ধারণ করে আদালত।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার মামলার রায় দেওয়ার কথা থাকলেও কোনও কারণ না দেখিয়েই দুবার পেছানো হয় মামলার রায় ঘোষনার দিন। চলমান সব মামলার রায় হলে সূ চির ১০৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সু চির বিরুদ্ধে জান্তা সরকারের দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে উসকানি ও করোনোর বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষিত হয়। এই রায়ে সু চি দোষী সাব্যস্ত হন। তিনি একটি অজ্ঞাত স্থানে দুই বছরের সাজা ভোগ করছেন।
মিয়ানমারের স্বাধীনতাসংগ্রামের নায়কের মেয়ে সু চি। তিনি দেশ-বিদেশে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী হিসেবে পরিচিত।
মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সু চি দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেন। জান্তা শাসনের বিরোধিতা করার জন্য তাকে বছরের পর বছর গৃহবন্দী থাকতে হয়।
২০১০ সালে সু চি মুক্তি পান। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ভূমিধস জয় পায়। তার দল সরকার গঠন করে।
গত বছরের নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে সু চির দল আবার বড় জয় পায়।
কিন্তু দেশটির সেনাবাহিনী সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা সু চির বেসামরিক সরকার উৎখাত করে। দেশটিতে জারি করে জরুরি অবস্থা।
একই সঙ্গে সামরিক জান্তা সু চিসহ দেশটির রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং সুচির মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। চলমান আন্দোলনে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন।
কেএফ/