ডিক্যাপ্রিওর নামে গাছ
হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সম্মানে গাছের একটি প্রজাতির নামকরণ করা হলো। পরিবেশ নিয়ে কথা বলে এবং বনভূমি রক্ষায় কাজ করে, বিভিন্ন সময় ইতিবাচক শিরোনাম হয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক প্রতিনিধিও ছিলেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। খবর বিবিসির
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের বিজ্ঞানীরা এ উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা বলেছেন, চিরহরিৎ বন রক্ষায় ক্যাপ্রিও যে উদ্যোগ নিয়েছেন, সে জন্য তাকে সম্মান জানাতে চান তারা।
ডিক্যাপ্রিওর নাম অনুসারে একটি প্রজাতির গাছের নাম দেওয়া হয়েছে ইউভারিওপসিস ডিক্যাপ্রিও। ক্যামেরুন ও নাইজেরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্যামেরুন বনভূমির ছোট্ট একটি এলাকায় এই জন্মায় এই গাছ। যে গাছটি ক্যাপ্রিওর নাম পেল, সেই গাছের ফুল দেখতে হলুদ। এর কাণ্ডে এই ফুল ধরে। এই গাছ বিলুপ্ত হওয়ার বড় রকমের ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনসের বিজ্ঞানী মার্টিন চিক বলেন, ক্যামেরুন বনভূমির এবো ফরেস্ট এলাকায় বনভূমি উজাড় ঠেকাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
এই বনভূমির একটি গাছের প্রজাতির ডিক্যাপ্রিওর নামে নামকরণের পেছনে একটি ঘটনা রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, মধ্য আফ্রিকার এই ক্যামেরুন বনভূমিতে তুলনামূলকভাবে কম হাত পড়েছে। এই বনভূমিতে এমন কিছু উদ্ভিদ রয়েছে, যেগুলো অন্য কোথাও নেই। বিশেষ কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। এসবের মধ্যে রয়েছে শিম্পাঞ্জি, বুনো হাতি, গরিলা। ২০২০ সালে এই বনভূমি থেকে গাছ কাটার অনুমোদন দিয়েছিল ক্যামেরুন সরকার।
ক্যামেরুন সরকারের এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে দেশটির সরকারকে চিঠিও দেয়। এই ইস্যু নিয়ে কাজ শুরু করেন ক্যাপ্রিও। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে পোস্ট দিলে লাখো মানুষ তাতে সাড়া দেয়। এরপর সরকার একটা সময় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
১৯৯৮ সালে ২৪ বছর বয়স থেকে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে বনভূমি সংরক্ষণে কাজ করছেন ডিক্যাপ্রিও। তার ফাউন্ডেশন থেকে বনভূমি সংরক্ষণে ৩৫ প্রকল্পকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে।