৫ বছরের জন্য নির্বাচনে ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বেঞ্চ ইসলামাবাদে এই রায় ঘোষণা করেন। তোশাখানা মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আর্টিকেল ৬৩ (১) ধারায় ৫ বছরের জন্য তাকে ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের বেঞ্চ এ ঘোষণা দেয়। রাষ্ট্রীয় উপহার তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগে এই ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
আগস্টে পাকিস্তান মুসলিম নওয়াজ দলের একজন সদস্য ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন। ডন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের এই রায়ের ফলে পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, দেশের মজলিস-ই-শুরার (পার্লামেন্ট) পাশাপাশি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনেও ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকল না ইমরান খানের সামনে।
এদিকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাৎক্ষণিকভাবে শুক্রবারের এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটি বলছে, এই আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করবে তারা। সমর্থকদের রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়েছে দলটি। রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পিটিআইয়ের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে বিব্রতকর ও পাকিস্তানের জনগণের মুখে চপেটাঘাত বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এই রায় শুধু ইমরান খানের ওপর হামলা নয়, এটি পাকিস্তানের সংবিধান ও জনগণের ওপরও একটি হামলা। এদিকে রায়ের লিখিত অনুলিপির অপেক্ষায় থাকা আইন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই রায়ের মাধ্যমে চলতি জাতীয় পরিষদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইমরানকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এটি হলে জাতীয় পরিষদের সদস্য পদ হারাবেন তিনি এবং তার শূন্য আসছে উপনির্বাচন হবে।
এএজেড