বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরি বিক্রি! দুর্নীতির বীজ থেকে অপরাধের মহীরুহ

মাত্র কয়েক বছর আগে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবিতে ঢাকার শাহবাগ চত্বরে জোয়ার নামিয়ে এনেছিল বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসমাজ। গঙ্গাপারের শহর কলকাতায়ও গত প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রছাত্রী তথা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের ন্যায্য চাকরির দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন। ধারে ও ভারে কিংবা চরিত্রে শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গে কলকাতার যুব-আন্দোলনের মিল না থাকলেও স্পিরিটটা মোটামুটি একই রকম।

আন্দোলনকারীরা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় পাশ করে ইন্টারভিউয়ের পর্ব শেষ করে চাকরির প্যানেলে নাম তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তাঁদের সেই ন্যায্য চাকরি পেয়ে গিয়ে চাকরি শুরু করে দিয়েছেন হাজার হাজার অযোগ্য প্রার্থীরা। চাকরির দাবিতে সেই থেকে তাঁদের আন্দোলনের সূত্রপাত।

এর পরের পর্যায়ে কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া। সেখানে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং শিক্ষা দপ্তরের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা মিলে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেই সরকারি শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করে দিয়েছেন অযোগ্য প্রার্থীদের। সাত থেকে ১৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই চাকরিগুলি। এখনও চলছে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া।

এই মুহূর্তে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দপ্তরের প্রায় সব শীর্ষ কর্তাই জেলে রয়েছেন। এই শীর্ষ নেতাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেড়শো কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থ (চাকরি বিক্রির টাকা)। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অনশনরত সেই চাকরিপ্রার্থীদের ওপর চড়াও হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ। লাঠিপেটা করে তুলে দেওয়া হয় সেই চাকরি প্রার্থীদের। ওই ঘটনার পর থেকে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে পরিস্থিতি।

বিরোধী দলগুলি রাস্তায় নেমে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই বিষোদ্গার করতে শুরু করেছেন অপর্ণা সেনের মতো সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। কয়েকটি পরিসংখ্যানের ওপর নজর রাখলে বোঝা যাবে চুরির পর চুরির অভিযোগে বিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যকে ঠিক কোন খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে।

পরিসংখ্যান ১: তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গ। শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ দুর্নীতির জেরে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী রাজপথে আমরণ গণঅনশন করছেন। তাঁরা প্রতীকী লাশ হয়েছেন। এ রাজ্যে গত বাম সরকারের ৩৪ বছরে এমন দেখা যায়নি।

পরিসংখ্যান ২: বিজেপি জোট শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা। কর্মচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আত্মহত্যা ও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৪২ জন। বাংলাভাষী এই রাজ্যে গত ২৫ বছরের বাম আমলে এমনটি হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা এই দুটি রাজ্য থেকেই বাম সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরে গেছে। দুটি রাজ্যেই ক্ষমতায় দক্ষিণপন্থীরা। দুই রাজ্যে শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

পরিসংখ্যান ৩: সিপিআইএম নেতৃত্বে কেরল সরকার ঘোষণা করেছে বিপুল শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। দেশের প্রথম সারির সব গণমাধ্যমের খবর, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতায় যে কোনও উন্নত দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে কেরল সরকার। উপরোক্ত পরিসংখ্যানগুলি জানিয়ে দিচ্ছে সবই সরকারের ইচ্ছে। অভিযোগ, সদিচ্ছার অভাব হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। যেমন বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় কর্মচ্যুত শিক্ষকের মৃত্যুর পর অর্থাভাবে তাঁর স্ত্রী চিতায় উঠে সন্তানসহ সহমরণ করতে যান। শতাধিক শিক্ষক/শিক্ষিকার মৃত্যু হয়।

এদিকে টেক চাকরি প্রার্থীদের কলকাতায় গণঅনশনের জীবন্ত লাশ হওয়া ছবি ভয়াবহ ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছ। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছে এই ছবি। সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন উঠছে যদি এই প্রতীকী লাশ বাস্তব হয়ে যায়? গত সোমবার থেকে সল্টলেকে অনশন বিক্ষোভ জারি রেখেছেন চাকরি প্রার্থীরা৷ অন্ন, জল কিছুই নামেনি গলা দিয়ে। যার জেরে অচল হয়ে পড়ছে শরীর৷ তবুও আন্দোলনে অনড় ২০১৪ সালের টেক পাশ চাকরি প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবারও জারি রয়েছে আমরণ অনশন৷ শরীরের ওপর সাদা কাপড় জড়িয়ে নিজেরাই হয়েছেন জীবন্ত লাশ৷ চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, দীর্ঘ চার দিনের পরেও নমনীয় হচ্ছে না সরকার৷ তাদের বক্তব্য, সরকার অনেক ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে পারে তবে এক্ষেত্রে কেন নিচ্ছেন না৷ তাদের কথায়, এমনিতেই আমাদের মরতে হবে৷ মরতে হলে এখানেই মরব৷ তবে যোগ্য নিয়োগ-দাবি অর্জন না হওয়া অবধি আন্দোলন জারি রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। প্রয়োজনে সরকার অচল করতেও প্রস্তুত তাঁরা।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতির পাহাড় তৈরি হয়েছে ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ খুঁজতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্য শিক্ষা পর্ষদ এবং মামলাকারীদের আইনজীবীরা। আগামী নভেম্বর মাসেই আদালতের কাছে ভুয়ো নিয়োগের রিপোর্ট পেশ করা হবে। আগামী ১৬ নভেম্বর হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে সেই রিপোর্ট। ভুয়ো নিয়োগের তালিকায় যেসব শিক্ষকদের নাম রয়েছে,সেই তালিকা সুদীর্ঘ। যার ফলে আগামী মাসে হাজার হাজার ভুয়ো এবং টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক চাকরি খোয়াতে চলেছেন।

গত কয়েক বছরে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির পাহাড় তৈরি হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের নজির এখন রাজ্যের জেলায় জেলায়। গত কয়েক বছরে এই যে দুর্নীতি, তাতে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তা খুঁজে বের করতেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে বৈঠকে বসে তিন পক্ষ। ইতিমধ্যেই ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তথ্য জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই তথ্যের সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির একাধিক সদস্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি-সহ সামিল রয়েছেন মিডলম্যানরাও। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কারা যুক্ত? কীভাবে এতগুলো বছর ধরে এই নিয়োগ দুর্নীতি চলছিল? এর সাথে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছেন? তদন্তের জন্য সবটাই জানতে বারবার সকলকে হেফাজতে নিচ্ছে সিবিআই। সম্প্রতি (গত বুধবার) সিবিআই দাবি করে, 'কী করে অপরাধ করলে বাঁচতে হবে সবটাই পরিকল্পনা রেখেছিলেন সকলেই'।

আদালতের কাছে সিবিআই আরও দাবি করেছে, এঁরা প্রত্যেকে প্রভাবশালী। সিবিআই কী তদন্ত করছে, কাকে ডাকছে, কী তদন্ত করছে, তা এঁরা জেনে নিতেন। সাক্ষীদের কী প্রশ্ন করা হয়েছে, তাও জেনে নিতেন। বাঁচার জন্য রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন”। সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছে,নিয়োগ দুর্নীতি সঙ্গে যারা যুক্ত, সকলকেই আদালতের সামনে আনতে চায় সিবিআই।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি