এলপিজির দাম বৃদ্ধিতে বিক্ষোভ, কাজাখস্তানে সরকারের পতন
কাজাখস্তানের এলপিজির দাম ভয়ঙ্করভাবে বাড়তে শুরু করলে শুরু হয় সহিংস প্রতিবাদ। এরই জের ধরে পদত্যাগ করেছে দেশটির সরকার। আর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট তোকায়েভ।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে।
এর আগে এলপিজির দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু গত মঙ্গলবার এলপিজির উপর থেকে সেই প্রাইস ক্যাপ তুলে নেওয়া হয়। ফলে অনেকটাই বেড়ে যায় এলপিজির দাম। এর ফলে মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) থেকেই প্রতিবাদ শুরু হয়। সেই প্রতিবাদ সহিংস হয়ে উঠে।
সরকার প্রথমে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে। বড় শহরগুলোতে লকডাউনও ছিল। তারপরও পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট এই ইস্তফা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি স্মাইলভকে কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রতিবাদ শুরু হয় দেশের অয়েল হাব বলে পরিচিত শহর মেঙ্গিস্টাতে। দ্রুত তা অন্য শহরগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামেন। রাতেও বিক্ষোভকারীরা শহরের রাস্তায় ছিলেন। আলমাটিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুঁড়েও বিক্ষোভ সামাল দিতে পারেনি।
বিক্ষোভকারীরা সরকার ও সামরিক ভবনগুলো আক্রমণ করার ডাক দেয়। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এই ধরনের প্রতিবাদ অন্যায়। সরকারের সাথে আলোচনায় বসা উচিত বিক্ষোভকারীদের।
কাজাখস্তানে অনেকেই এলপিজিতে গাড়ি চালান। সরকার এতদিন দাম নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছিল বলে, গ্যাসোলিনের থেকে এলপিজিতে গাড়ি চালানো সস্তা ছিলো। সরকার সেই এলপিজির দাম বাড়ানোয় প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। যার জেরে সরকারের পতন হলো।
এসএ/