রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর শেষকৃত্য সম্পন্ন

দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চবিশপ ও শান্তিতে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটুর শেষকৃত্য শনিবার রাজধানী কেপটাউনের শনিবার সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ২৬ ডিসেম্বর ৯০ বছর বয়সে মারা যান ডেসমন্ড টুটু। এরপর থেকে তার মরদেহ সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রালে সর্বস্তরের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হয়। শনিবার সেখানে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানান পরিবারের সদস্য, বন্ধু, যাজক ও রাজনৈতিক নেতারা। করোনা সংক্রমণের কারণে শেষকৃত্যে একশ জনের মতো উপস্থিত ছিলেন।

শেষকৃত্যে প্রশংসাপত্র পাঠের সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ডেসমন্ড টুটুকে নতুন প্রজন্মের আধ্যাত্বিক পিতা হিসেবে আখ্যা দেন। মৃত্যুর পর শেষকৃত্য যেন খুব সাদামাটাভাবে হয়. টুটুর এমন ইচ্ছার ফলে সবচেয়ে সস্তা কফিনেই রাখা হয় তাকে। বর্ণবৈষম্য প্রথা বিলুপ্ত করার সংগ্রামে ভূমিকা রাখায় ১৯৮৪ সালে টুটুকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।

বিশ্ববিখ্যাত বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার সমসাময়িক ছিলেন ডেসমন্ড টুটু। ১৯৪৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দেশটিতে যে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন চলেছে, তাতে অন্যতম চালকের আসনে ছিলেন তিনি। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে শান্তির নোবেল পুরস্কারও পান এই ধর্মযাজক।

চলতি বছরের অক্টোবর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ডেসমন্ড টুটুর। তখন থেকেই হুইল চেয়ারে চলাচল শুরু করেন তিনি।

১৯৬০ সালে ধর্মযাজক হিসেবে স্বীকৃতি পান ডেসমন্ড টুটু। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশ লেসোথোর যাজক (বিশপ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারপর জোহানেসবার্গে ফিরে আসেন তিনি। ১৯৮৫ সালে উচ্চতর যাজক (আর্চবিশপ) পদ লাভ করেন ডেসমন্ড টুটু। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আর্চবিশপ।

১৯৯৪ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দেশটিতে শেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে সুসম্পর্ক জোরদার করতে যে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠন করেছিলেন, তার প্রধান ছিলেন ডেসমন্ড টুটু।

টুটুকে 'আইকনিক আধ্যাত্মিক নেতা, বর্ণবাদবিরোধী কর্মী ও বৈশ্বিক মানবাধিকার আন্দোলনের সৈনিক' অ্যাখ্যা দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা বলেন, 'তিনি এমন এক দেশপ্রেমিক ছিলেন, যার সমতুল্য কেউ নন; ছিলেন নীতি ও বাস্তবিক পরিস্থিতির সমন্বয়কারী এক নেতা, যিনি বাইবেলের গূঢ়কথার অর্থ হাজির করেছিলেন এই বলে যে, কর্ম ছাড়া বিশ্বাস মৃত।'

প্রসঙ্গত,  আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুকে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে সমাহিত করা হবে। বিশেষ পদ্মতিতে তার মরদেহ পানিতে মিলিয়ে দেওয়া হবে।

মরদেহ ছাইতে পরিণত করতে আগুন ব্যবহার করা হলেও টুটুর মরদেহ অ্যাকুয়ামেশন পদ্ধতিতে ছাইতে পরিণত করা হবে। অ্যাকুয়ামেশন পদ্ধতিতে মরদেহ ছাইতে পরিণত করতে পানি ব্যবহার করা হয়। টুটুর শেষকৃত্যে পরিবেশ বান্ধব উদাহরণ রাখা হচ্ছে। আগুনে পোড়ালো কার্বন নিঃস্বরণ হবে, তাই তার মরদেহ ছাইতে পরিনত করা হবে পানির মাধ্যমে যে পদ্মতিটিকে বলা হয় 'অ্যালকালাইন হাইড্রোলিসিস'।

অ্যালকালাইন হাইড্রোলিসিস পদ্মতিতে কার্বন নিঃস্বরণ ৯০ শতাংশ কম হয়। শরীর পানিতে পূর্ণ করা হয়। এরপর পটাশিয়াম হাইড্রোঅক্সাইডের সঙ্গে পানি মিলিয়ে ১৫৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে মরদেহ ছাইতে পরিণত করা হবে। আর ও প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে ৯০ মিনিট।

এ প্রক্রিয়ায় শুধু শরীরের মাংস ছাইতে পরিণত হবে। পরে হাড়গুলোকে ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শুকিয়ে মেশিনের সাহায্যে হাড়গুলো গুড়ো করে পাউডারে পরিণত করা হবে। হাড় গুঁড়ো করতে ক্রিমুলেটর মেশিন ব্যবহার করা হবে। এসব প্রক্রিয়া শেষে মৃত্যের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার দেহভষ্ম সমাহিত করা হবে।

কেএফ/ 

 

 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল