কথা বলতে পারছেন রুশদি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হামলার শিকার লেখক সালমান রুশদিকে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি কথা বলতেও পারছেন বলে জানিয়েছেন তার এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি।
রবিবার (১৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ছুরিকাঘাতের একদিন পর এই লেখককে ভেন্টিলেটর থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো।
এর আগে অ্যান্ড্রু ওয়াইলি জানিয়েছিলেন, হামলার কারণে রুশদি একটি চোখ হারাতে পারেন।
৭৫ বছর বয়সী রুশদি নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় আক্রমণের শিকার হন এবং এরপর থেকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।
হামলার পর পুলিশ হাদি মাতার নামে ২৪ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করেছে। এরপরও তাকে জামিন অযোগ্য বিধিতে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
যদিও আটক ওই যুবক হত্যার চেষ্টার জন্য দোষী নয় বলে দাবি করেছেন। অভিযুক্ত হাদি মাতার নিউ জার্সির ফেয়ারভিউয়ের বাসিন্দা এবং ঘটনার দিন একটি পাস কিনে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেছিলেন।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত দ্য স্যাটানিক ভার্সেসের জন্য অনেক আগে থেকেই সালমান রুশদি কট্টর ইসলামপন্থিদের হুমকি পেয়ে আসছিলেন। শুক্রবার নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠান চলাকালেই তার ওপর হামলা হয়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছুরি হামলার শিকার হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত উপন্যাসিক সালমান রুশদি। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে নিউ ইয়র্কের শাটাকোয়া ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন বুকারজয়ী এই লেখক। যখন তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তখনই এক লোক দৌড়ে স্টেজে উঠে ছুরি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।
হামলায় ৭৫ বছর বয়সী রুশদির ঘাড়ে ও শরীরে জখম হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হেলিকপ্টারে করে পেনসেলভেইনিয়ার ইরি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, আহমেদ সালমান রুশদির জন্ম ১৯৪৭ সালে মুম্বাইয়ে এক কাশ্মিরি মুসলিম পরিবারে, ভারত ভাগের ঠিক আগে আগে। ১৯৮১ সালে তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ প্রকাশিত হলে লেখক হিসেবে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। শুধু যুক্তরাজ্যেই বইটির ১০ লাখ কপি বিক্রি হয়।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত রুশদির চতুর্থ উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ বিশ্বজুড়ে বিতর্কের জন্ম দেয়। বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ আর সহিংসতার মধ্যে বহু দেশে বইটি নিষিদ্ধ হয়। রুশদির জন্মস্থান ভারতের সরকারই প্রথম সেই সিদ্ধান্ত নেয়। এ বই প্রকাশের পর প্রায় ১০ বছর তাকে আত্মগোপনে থাকতে হয়।
এসএন