ভারতে করোনার সংক্রমণ একদিনে ৪৪ শতাংশ বেড়েছে
বৈঠকে মোদি, চরম দুশ্চিন্তায় কেজরিওয়াল
ভারতে হু হু করে বাড়ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে।একদিনে বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। রাজধানী দিল্লিতে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটিতে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮১ জন। এর মধ্যে ২৩৮ জনই দিল্লিতে। মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। এই দুই রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি।
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ বুধবার জরুরি বৈঠকে বসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজল এবং দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেজরিওয়াল। ইতিমধ্যে দিল্লিতে নৈশ কার্ফু জারি করা হয়েছে। জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। বৈঠকের পর আরও কিছু সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গোটা দেশের ওমিক্রন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রি পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবারই দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়, দিল্লিতে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স, জিম বন্ধ থাকছে। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজধানীর স্কুল, কলেজও। মোট আসন ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহণ করবে দিল্লি মেট্রো। বেসরকারি দপ্তরে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। দিল্লিতে সমস্ত রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ‘জোড়-বিজোড়’ নীতি মেনে খোলা থাকবে শপিং মল ও দোকান। রাজধানীতে রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত জারি থাকবে নৈশ কার্ফু। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই বর্ষবরণের আগে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে।
সব ধরনের জমায়েতে লাগাম টানতে বিধিনিষেধ জারি করেছে দেশের অধিকাংশ রাজ্য। নৈশ কার্ফু জারি হয়েছে। সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সতর্ক ও সাবধানতা অবলম্বনে জোর দিয়েছে। গত ২০ দিন পর দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ ফের ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৯৫ জন। মঙ্গলবার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৮।
বুধবার দেশের দৈনিক আক্রান্ত মঙ্গলবারের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি হয়েছে। দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের পরই ওমিক্রণ আক্রান্তের ক্রম তালিকায় রয়েছে, গুজরাত, কেরল। গুজরাত (৭৩), কেরল (৬৫), তেলঙ্গানা (৬২), রাজস্থান (৪৬), কর্নাটক (৩৪), তামিলনাড়ুতে (৩৪) ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছে।
বিদেশ ফেতদের ২২ দিন হোম আইসোলেশন
ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকাতে এবার বিদেশ ফেরত যাত্রীদের জন্য আরও কড়া বিধিনিষেধ জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এবার থেকে বিদেশ ফেরত প্রত্যেককে সবমিলিয়ে বাইশ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতেই হবে। এমন কি, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও এই নির্দেশিকা মানতে হবে।
বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা ছিলই। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে আর সেভাবে কোনও বিধিনিষেধ মানতে হত না যাত্রীদের। কিন্তু এবার থেকে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলেও প্রথম দফায় আট দিন বাড়িতে থাকবে হবে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের।