শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ল

শ্রীলঙ্কার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। দেশজুড়ে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে আরোপিত কঠোর জরুরি আইন আগামী একমাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার লঙ্কান পার্লামেন্টের ২২৫ জন সদস্যের মধ্যে জরুরি অবস্থা বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেন ১২০ জন। আর জরুরি অবস্থা বাড়ানোর বিপক্ষে অবস্থান নেন ৬৩ জন। দেশটির জরুরি অধ্যাদেশ দীর্ঘ সময়ের জন্য সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার ও আটকে রাখার ক্ষমতা দেয় সেনাবাহিনীকে। সংসদে পাস না হলে বুধবারই শেষ হয়ে যেত জরুরি অবস্থা।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ১৭ জুলাই দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন রনিল বিক্রমাসিংহে। গোতাবায়া রাজাপক্ষে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ালে পার্লামেন্টে সদ্যেদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল। এরপরই সরকার গঠন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তবে দেশের মানুষকে সরকারের পাশে থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বিরোধীদলগুলো জরুরি অবস্থাকে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করার জন্য সরকারের হাতিয়ার বলে সমালোচনা করেছে।
দেশটির পুলিশ বুধবার আলাদা বিবৃতিতে জানিয়েছে, যে তারা বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে বিক্ষোভকারী কুসল সান্দারুয়ান ও ওয়েরাঙ্গা পুষ্পিকাকে আটক করেছে। আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রধান বিমানবন্দরে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে উঠার সময় ছাত্র নেতা ধনিজ আলী গ্রেপ্তার হন। পুলিশের দাবি, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।
এদিকে শৃঙ্খলা ফেরানোর অজুহাত দিয়ে বিক্ষোভকারীদের দমাতে সরকারের কঠোর অবস্থানকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না অনেকেই।
এসএন
