গণবিক্ষোভে অংশে নেওয়ায় মিয়ানমার অভিনেতার কারাদণ্ড
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় জনপ্রিয় এক মডেল ও অভিনেতাকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। পেইং তাখোন নামে ওই তারকাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী গণবিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন পেইং। তিনি দেশটির জান্তা সরকারের সমালোচনায় অনলাইনে সোচ্চার ছিলেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থান করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা অং সান সু চির বেসামরিক সরকার উৎখাত করে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই দেশটির গণতন্ত্রপন্থী জনতা বিক্ষোভ শুরু করে। কোনো কোনো বিক্ষোভে লাখো জনতা অংশ নেয়। তুমুল বিক্ষোভ দমাতে দেশটির সেনাবাহিনী সহিংস দমন-পীড়ন শুরু করে।
পেইংকে এপ্রিলে গ্রেপ্তার করে দেশটির সেনাবাহিনী। পেইংয়ের আইনি পরামর্শক খিন মং মিন্ট বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, পেইংকে কঠোর শ্রমের সাজা দেওয়া হয়েছে। পেইংয়ের পরিবার এই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
গ্রেপ্তারের আগে ২৪ বছর বয়সী পেইংকে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির ছবি অনলাইনে পোস্ট করেছিলেন পেইং। ভিন্নমত উসকে দেওয়া ও করোনার বিধিভঙ্গের অভিযোগের মামলায় ইতিমধ্যে সু চিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন জান্তাশাসিত মিয়ানমারের আদালত।
অনলাইনে করা পোস্টে পেইং লিখেছিলেন,'আমরা সামরিক অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা অবিলম্বে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট, বেসামরিক সরকারের মন্ত্রী ও পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যদের মুক্তির দাবি জানাই।'
পেইং আরও লিখেছিলেন, 'আমরা ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে শ্রদ্ধা জানানোসহ এনএলডির নেতৃত্বাধীন নতুন বেসামরিক সরকার গঠনের দাবি জানাই।'
পেইংয়ের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১০ লাখের বেশি অনুসারী ছিল। গ্রেপ্তারের পরপরই তার এই অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়া হয়। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পেইংয়ের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, গ্রেপ্তারের সময় পেইং বিষণ্নতা ও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এমনকি তিনি ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারছিলেন না।
কেএফ/