রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ফিরে দেখা ২০২১

নিয়ন্ত্রণহীন লুকাশেঙ্কো

বছরখানেক ধরেই পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের আলোচিত নাম আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। বেলারুশের বিতর্কিত এই প্রেসিডেন্ট ২০২১ সালে আবারও আলোচনায় এসেছেন বেলারুশ হয়ে ইউরোপে যাওয়া গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করার হুমকি দিয়ে।

নভেম্বরে বেলারুশ সীমান্ত থেকে কয়েক শ শরণার্থী পোল্যান্ডের দিকে যাওয়ার পর সংকট তীব্র হয়েছে। ইউরোপে ঢোকার প্রত্যাশায় পোল্যান্ড সীমান্তে অবস্থান করা কয়েক হাজার শরণার্থী এখন তীব্র ঠান্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে গেছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।

পোল্যান্ড ও তার মিত্রদের দাবি, রাশিয়ার ইন্ধনে বেলারুশ শরাণার্থীদের পোল্যান্ডে প্রবেশের জন্য উসকানি দিচ্ছে, যাদের অনেকে মধ্যপ্রাচ্যের নাগরিক। বেশিরভাগের সঙ্গেই কনকনে শীতের হাত থেকে বাঁচার কাপড়টুকুও ছিল না। বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে শিশু।

পোল্যান্ড সীমান্তে মানবিক সংকটের জন্য বেলারুশকে দায়ী করে নিষেধাজ্ঞা দিলে এর পাল্টায় মিনস্কও ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে বলে হুমকি দিয়েছেন আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। গত ১১ অক্টোবর তিনি বলেন, ‘ইউরোপ যদি আমাদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে আমরাও জবাব দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইউরোপকে গরম রাখি, আর তারা আমাদের হুমকি দেয়। এখন আমরা যদি প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দিই? সেজন্যই পোল্যান্ড, লিথুনিয়ার নেতা ও অন্যান্য নির্বোধদের বলতে চাই–ভেবে তারপর কথা বলবে।’
৩০ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো বলেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো যদি পোল্যান্ডে অ্যান্টি-মিসাইল ব্যবস্থা স্থাপন করে, তাহলে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র চাইবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী নামিয়ে ভিন্নমত দমন ও প্রশ্নবিদ্ধ ভোটে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ইউরোপে নব্য স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছেন। তাকে ইউরোপের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি মনে করা হচ্ছে। এ কারণে পশ্চিমাদের কাছে লুকাশেঙ্কো করোনাভাইরাস থেকে কোনো অংশে কম আলোচিত বা তাৎপর্যপূর্ণ নন। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হলো সীমান্ত ও শরণার্থী ইস্যু। কিছুদিন আগে বিমান ছিনতাই করে সাংবাদিক গ্রেপ্তার এবং এতে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যুদ্ধের সংগঠন হামাসের কথিত বোমা হামলার অজুহাত তুলে তিনি আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে ছিলেন।

লুকাশেঙ্কোর শত্রু মিডিয়া

গত ২৩ মে সমাজকর্মী ও সরকারবিরোধী সাংবাদিক রোমান প্রোতেসেভিচকে গ্রেপ্তার করতে গ্রিস থেকে লিথুয়ানিয়ার উদ্দেশে পাড়ি দেওয়া রায়ান এয়ারের একটি বিমানের গতিপথ ঘুরিয়ে রাজধানী মিনস্কে নামতে বাধ্য করে বেলারুশ সরকার। আকাশ থেকে বিমান নামানোর কারণ হিসেবে ‘হামাসের বোমা হামলার হুমকি’ ছিল বলে দাবি করে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ।

রায়ানএয়ার বলেছে, বিমানে তল্লাশি চালিয়ে কিছুই পাওয়া যায়নি। পাঁচ ঘণ্টা পর বিমানবন্দর ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে তার আগে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগ তুলে রোমান প্রোতেসেভিচ ও তার রুশ বান্ধবী সোফিয়া সাপিগাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকেই ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। বেলারুশের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলে শাস্তি দাবি করেছে তারা।

ইউরোপ-আমেরিকায় যখন নিন্দার ঝড় বইছে, তখন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট তাঁর কৃতকর্মের সাফাই দিয়েছেন। দাবি করেন, তিনি বেলারুশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের অধীনেই এ কাজ করেছেন। সংসদে দেওয়া ভাষণে লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘যেমনটি আমরা আভাস দিয়েছিলাম, আমাদের যারা ক্ষতি চায়, দেশের বাইরে থেকে ও দেশের ভেতর থেকেও তারা আমাদের রাষ্ট্রের উপর আক্রমণের পদ্ধতি পাল্টেছে।’

মিনস্ক বিমানবন্দরে আটকের পর গত ২৪ মে প্রথমবারের মতো ওই সাংবাদিকের একটি ভিডিও প্রকাশ করে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ। এতে রোমান প্রোতেসেভিচ বলেছেন, তার স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আনা অভিযোগ স্বীকার করতেও দেখা গেছে। তবে দেশটির প্রধান বিরোধীদলীয় নেতাসহ অ্যাক্টিভিস্টরা ভিডিওটির সমালোচনা করে বলেছেন, চাপের মুখে রোমানকে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

লিথুয়ানিয়ায় নির্বাসিত বেলারুশের বিরোধী নেতা সভেৎলানা টিখানোভসকিয়া জানান, লুকাশেঙ্কো সরকার ২৬ বছর বয়সী রোমান প্রোতেসেভিচের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনার পর ২০১৯ সালে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর নেক্সটা মিডিয়ার মাধ্যমে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর প্রকাশ করেন। ওই নির্বাচন ও তার পরবর্তী সময়ে বেলারুশের বিরোধীদের পক্ষে বড় ভূমিকা রেখেছিল নেক্সটা মিডিয়া। টেলিগ্রাম চ্যানেলের পাশাপাশি টুইটার ও ইউটিউবে তাদের খবর প্রকাশিত হয়। বেলারুশ কর্তৃপক্ষ প্রোতেসেভিচকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করায় দেশে তার মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সভেৎলানা।

পোলিশ সম্প্রচারমাধ্যম টিভিএনে প্রোতেসেভিচের মা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘দয়া করে উঠে দাঁড়ান, সাহায্য করুন। আমি আপনাদের কাছে এই কাকুতি-মিনতি করছি–কারণ, তারা ওকে মেরে ফেলবে।’

বেলারুশের মিডিয়া সম্পর্কে মিডিয়া বিশ্লেষক নিকিতা কাপ্লেংকো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘বেলারুশের পুরো মিডিয়া লুকাশেঙ্কোর পকেটে। তবুও টেলিগ্রাম নামের ফ্রি অ্যাপে চ্যানেল চালানো এক যুবক তার পুরো প্রোপাগান্ডা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি! কার্যত এর মধ্য দিয়েই বুঝা সম্ভব, কেন স্বৈরশাসকরা মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়; আর কেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাদের জন্য হুমকি।’

স্বৈরতন্ত্রের ভিত্তি গড়েছে যে নির্বাচন

১৯৯১ সালের ২৫ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে বেলারুশ পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। গণতন্ত্র ও মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে দেশটিতে অসন্তোষ প্রথম থেকেই তৈরি হয়। ১৯৯৪ সালে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সেখানে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সোভিয়েতকালে লুকাশেঙ্কো ছিলেন অন্যতম সফল সামরিক কর্মকর্তা। নির্বাচনে তিনি একচেটিয়া পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রের মাঝামাঝি একটি জনকল্যাণকর গণতন্ত্রের প্রচারণা সামনে আনেন। বেলারুশের জনগণের মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রতি আস্থা ছিল না; আবার সমাজতন্ত্রের নামে সোভিয়েতকালের শেষের দিকে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়, সেটিও তাদের মনে গেঁথে ছিল। এ কারণে লুকাশেঙ্কোর প্রতি জনগণের আস্থা তৈরি হয়। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ১৯৯৪ সালের ২০ জুলাই পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লুকাশেঙ্কো।

গণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসীন হলেও তাকে বেলারুশ থেকে ‘গণতন্ত্রকে মুছে ফেলার কুশীলব’ বলে মনে করেন অনেকেই। অনেক স্বৈরতান্ত্রিক শাসকদের মতো লুকাশেঙ্কোর শাসন কাঠামোর মূল ভিত্তিও তথাকথিত উন্নয়ন। পূর্ব ইউরোপের অন্য দেশের তুলনায় বেলারুশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক গোছানো। অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে ২৭ বছরের শাসনে দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলকেও মূলধারায় এনে যুক্ত করেছেন লুকাশেঙ্কো। নাগরিক সুবিধার দিক থেকেও অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। যা দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তবে দেশটির সাধারণ মানুষের আয় মাসে ৮০ থেকে ১৩৩ ইউরো। যদিও লুকাশেঙ্কোর দাবি, বেলারুশের সাধারণ মানুষের আয় ৪৫০ ইউরোর উপরে।

বেলারুশের লিথুয়ানিয়াভিত্তিক সাংবাদিক তানিয়া হেনডেল বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পর সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চরিত্রের লুকাশেঙ্কোকে আমরা দেখতে পাই। দেশের সংবিধানকে তিনি সম্পূর্ণ নিজের মর্জি মতো সাজিয়েছেন। যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করেছিলাম, আমাদের সে স্বপ্নকে তিনি পুরোপুরি ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। কার্যত তিনি আবারও বেলারুশকে রাশিয়ার স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। সর্বত্রই রাশিয়ার প্রভাব। আমাদের অর্জন কেবলমাত্র একটি পাসপোর্ট। আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র, তবে সেটি কেবল নামে। বাস্তবে আমরা রাশিয়ার একটি উপনিবেশ হিসেবে বসবাস করছি।’

তানিয়া আরও বলেন, ‘জাতিগতভাবে আমরা বেলারুশিয়ান। আমাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে; কিন্তু এখনো স্কুল-কলেজে আমাদের ভাষা সেভাবে শেখানো হয় না। স্বাধীনভাবে আমাদের ভাষা চর্চা করতে পারি না। আমাদের দেশে রুশ ভাষার প্রভাব অনেক বেশি। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে রাশিয়া অনেকটা ধ্বংস করে দিয়েছে। লুকাশেঙ্কো এতো কিছু দেখার পরও কিছু বলেন না। কেননা, রাশিয়ার সমর্থন ছাড়া তিনি কখনোই এ পর্যায়ে আসতে পারতেন না।’

অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন করে যেভাবে রাশিয়া আবার আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছে, সেটি সম্ভব হতো না যদি না ভ্লাদিমির পুতিন একজন লুকাশেঙ্কোকে কাছে না পেতেন। এ কারণে পুতিন প্রশাসনের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয় লুকাশেঙ্কোকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত উন্নয়নের জাঁকজমকের মাঝে বেলারুশিয়ানরা হারিয়েছেন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, এমনকি ভোটের অধিকার। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে অন্য স্বৈরশাসকদের মতো তিনিও বেলারুশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছেন বলে অভিযোগ বিশ্লেষকদের। নির্বাচনী ব্যবস্থা, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে গণমাধ্যম–রাষ্ট্রের যাবতীয় প্রতিষ্ঠান তার অধীন। রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে তিনি নিজস্ব পাহারাদারে পরিণত করেছেন। দেশটিতে কে কি করবে, না করবে প্রায় সবকিছুই এখন লুকাশেঙ্কো নির্ধারণ করে দেন। সেই সঙ্গে রয়েছে ভয়াবহ দুর্নীতি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিরোধী নেতা ভিক্টর বাবারিকাকে এক আদালত ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে এই ব্যাংকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওয়াশিংটনভিত্তিক সাংবাদিক নাতালিয়া আন্তোনোভা ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ‘লুকাশেঙ্কোর কোনো সীমা নেই’ শীর্ষক এক কলামে লিখেছেন, যদি কেউ তার অপশাসনের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলে, তাহলে তাকে নির্মম পরিণতি ভোগ করতে হয়। নির্যাতন, গ্রেপ্তার, ধর্ষণ, খুন, গুম–এসবই লুকাশেঙ্কো সরকার আন্দোলনকারীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে। আর লুকাশেঙ্কো এখন সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে।


এসএ/

Header Ad
Header Ad

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশ শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জুনের মধ্যে স্থানীয় সরকারের সব স্তরে নির্বাচন করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা পরিষদের জন্য একটি এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের জন্য আরেকটি অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ এপ্রিলে বিস্তারিত কাজ করলে জুনে ভোট সম্ভব।

গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গতকাল শনিবার প্রকাশ করা হয়েছে। ড. তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অকার্যকর হয়ে পড়া স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে কার্যকরে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের সুপারিশ করেছে কমিশন। এতে নির্বাচন ব্যবস্থা সহজ এবং ব্যয়সাশ্রয়ী হবে।

কমিশন স্থানীয় সরকারে সংসদীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে। মত দিয়েছে, নির্বাচন নির্দলীয় পদ্ধতিতে আয়োজনের। ইউনিয়ন পরিষদে জনসংখ্যার অনুপাতে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯ থেকে ৩০ করার সুপারিশ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদে ওয়ার্ডের প্রস্তাব এসেছে। বিদ্যমান প্রতি ইউনিয়নকে তিনটি ওয়ার্ডে বিভক্ত করার কথা বলা হয়েছে। উপজেলায় ওয়ার্ড সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৩৩। প্রতি উপজেলায় জেলা পরিষদের তিন থেকে পাঁচটি ওয়ার্ড থাকবে। পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনে ওয়ার্ড সংখ্যা হবে জনসংখ্যার অনুপাতে।

স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের দায়িত্ব সরকারের হাত থেকে নির্বাচন কমিশনে নিতে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে।

সুপারিশে বলা হয়েছে, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও বেশি টাকা খরচ হয়। প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত ২২৫ দিন থাকে নির্বাচনী সময়। এতে সারা বছরই রাজনৈতিক উত্তেজনা, অস্থিরতা থাকে। এতে সরকারের কাজ বিঘ্নিত হয়। তাই স্থানীয় নির্বাচন একই তপশিলে একই দিনে আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদের ভোট একই সঙ্গে হবে। একজন ভোটার তিনটি পরিষদের সদস্যপদে তিনটি আলাদা ভোট দেবে। বর্তমানেও ভোটাররা স্থানীয় নির্বাচনে তিনটি ভোট দেন। একসঙ্গে নির্বাচন প্রতি পাঁচ বছরে মাত্র ৪৫ দিন থাকবে নির্বাচনী সময়। এতে সময় এবং ব্যয়সাশ্রয়ী হবে।

স্থানীয় পরিষদ বা কাউন্সিলে জাতীয় সংসদের আদলে স্পিকার থাকবেন। যিনি পরিচিত হবেন সভাধ্যক্ষ হিসেবে। প্রতি ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সদস্য বা কাউন্সিলরা গোপন ভোটে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচিত করবেন। চেয়ারম্যান বা মেয়ররা নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে তিন থেকে পাঁচজন নিয়ে নির্বাহী পরিষদ গঠন করবেন। এ পরিষদ মন্ত্রিসভার মতো কাজ করবে। বাকিরা একজন ছায়া নেতা নির্বাচিত করবেন। যিনি বিরোধীদলীয় নেতা হবেন।

সদস্যপদে প্রার্থী হতে মাধ্যমিক পাস হতে হবে। চেয়ারম্যান-মেয়রদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে ন্যূনতম স্নাতক। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে তারা চেয়ারম্যান-মেয়র হতে পারবেন না।

স্থানীয় সরকারের সংস্কারে গত ১৮ নভেম্বর আট সদস্যের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের প্রতিবেদনে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গ্রাম ও পৌর পুলিশ গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন দুটি পুলিশ বাহিনী গঠিত হওয়ার পর কমিউনিটি পুলিশকে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করা হবে।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে সময়ের সঙ্গে আধুনিকায়নের জন্য পাঁচ সদস্যের স্থায়ী স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। স্থায়ী সংস্কার কমিশন সব সংস্কার কর্মের একটি ধারাবাহিকতা রক্ষায় সক্ষম হবে। এটি স্থানীয় পর্যায়ে আইনের শাসন ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষার একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারে।

প্রতিটি স্থানীয় সরকারের সংগঠন কাঠামো দুটি প্রধান অংশে বিভক্ত থাকবে। একটি হলো বিধানিক অংশ (লেজিসলেটিভ পার্ট), আরেকটি নির্বাহী অংশ (এক্সিকিউটিভ পার্ট)। বিধানিক অংশের প্রধান হবেন জনপ্রতিনিধিদের মধ্য থেকে নির্বাচিত সভাধ্যক্ষ ও নির্বাহী অংশের প্রধান হবেন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেয়র।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ আসনের ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী আসনের ভিন্ন পদধারী তিনজন একই আকারের নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হন। আবার জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকা প্রায় ক্ষেত্রে অভিন্ন। এই চার প্রতিনিধির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাত তাই অনিবার্য।

নির্বাচিত জেলা পরিষদ গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন। ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় মোট ওয়ার্ডের এক-তৃতীয়াংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে তিন নির্বাচনের পর থাকবে না এই সংরক্ষণ। একইভাবে নির্বাহী পরিষদ এবং স্থায়ী কমিটিতে এক-তৃতীয়াংশ চেয়ারম্যান পদ নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

মেয়র বা চেয়ারম্যান পরিষদের সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে বিবেচিত হবেন। তারা বেতন সম্মানী পাবেন। প্রতিটি পরিষদ বছরের এপ্রিলে বার্ষিক বা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিতে অধিবেশন করবে। পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় টাকার ৫০ শতাংশ সরকার অর্থায়ন করবে। বাকিটা নিজস্ব উৎস থেকে পরিষদকে সংগ্রহ করতে হবে। জেলা ও উপজেলা পরিষদের প্রধান দায়িত্ব হবে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন। পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব হবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নাম বদল করে ‘স্থানীয় সরকার, জনসংগঠন ও জনপ্রকৌশল সেবা মন্ত্রণালয়’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার জনসংগঠন অংশটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সব এনজিওর কার্যক্রম তদারকি করবে। আর জনপ্রকৌশল ও সেবা বিভাগের অধীনে থাকে ওয়াসা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থা। এই মন্ত্রণালয়ে একজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রী থাকতে পারবে।

দুই ভাগে একজন করে সিনিয়র সচিব, একজন করে অতিরিক্ত সচিব, ৪ জন করে যুগ্ম সচিব, ৮ জন করে উপসচিব, ৮ জন করে সিনিয়র সহকারী সচিব ও ৮ জন করে সহকারী সচিব থাকবেন। এলজিইডি ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একীভূত করে এলজিইডির অধীনে থাকবে। সব উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত স্থাপন করতে হবে। এ জন্য বিচারক নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। গ্রাম আদালত বিলুপ্ত করে বিকল্প হিসেবে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ওয়ার্ড ও কমিউনিটি পর্যায়ে একটি সালিশি ব্যবস্থা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিচারকরা সম্পৃক্ত থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি

নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে একটি বিআরটিসি বাস ও মাইক্রোবাসে ডাকাতি। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে একটি বিআরটিসি বাস ও মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর-সাপাহার সড়কের মানাষী ও করমজাইয়ের মাঝামাঝি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ডাকাতের কবলে পড়া বিআরটিসি বাসের সুপার ভাইজার রতন কুমার সাহা জানান, রাজশাহী থেকে তাদের বাসটি পোরশার নিতপুরের উদ্দেশ্যে রাত পৌনে ৯টার দিকে ছেড়ে আসে। রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সড়কে গাছ ফেলা দেখে বাসের গতি কমিয়ে ফেলা হয়। এতে বাসটির পাশাপাশি একটি মাইক্রোবাসও আটকা পড়ে। এরপর একদল মুখোশধারী দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে বাসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, নারী যাত্রীদের স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

রতন কুমার সাহা আরও জানান, বাসের পেছনে থাকা মাইক্রোবাসটিতেও ডাকাতরা হানা দেয়। তারা মাইক্রোবাসটির চালককে মারধর করে মালামাল লুটপাট করে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ এনায়েতুর রহমান বলেন,‘আসলে সড়কে গাছ ফেলে বাসে ডাকাতির চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। ডাকাতের কবলে পড়া বাসটিতে ২০-২৫ জন যাত্রী ছিল। এছাড়া ওই সময় সেখানে একটি মাইক্রোবাস ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা মাইক্রোবাস্টির কাচ ভাঙ্চুর করে। তবে যাত্রী ও চালকদের ক্ষতি করতে পারেনি। পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় টহলে ছিল। যাত্রীদের ফোন পাওয়ার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে যাওয়ার কারণে ডাকাতরা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি। ছয়-সাতজন যাত্রীর মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ডাকাতরা।

তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের কী পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে তা তদন্ত করার পর জানা যাবে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়েছে। পুরো ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাত চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

Header Ad
Header Ad

প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে নাম লেখান শবনম বুবলী। একজন সংবাদ পাঠিকা থেকে হয়ে যান চিত্রনায়িকা।

সিনে ক্যারিয়ারের ৯ বছরের মাথায় নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। বুবলী নাম লেখালেন প্রযোজনায়। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জানা গেছে, বুবলীর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম বিগ প্রোডাকশন। এর ব্যানারে তৈরি হবে সিনেমা, নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য, মিউজিক ভিডিও। কার্যক্রম শুরু হবে নাটক দিয়ে। যেটি নির্মিত হবে আগামী কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে। আর সিনেমার ঘোষণা আসবে আগামী বছর।

এ বিষয়ে বুবলী বলেন, প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে অনেক প্রোডাকশন হাউসের সিনেমায় অভিনয় করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিগ প্রোডাকশনের ভাবনা। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক মেধাবী ও অভিজ্ঞ মানুষ যুক্ত হচ্ছেন। আমি সব সময় মানসম্পন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। প্রযোজক হিসেবেও চাইব ভালো কাজ উপহার দিতে।

প্রতিষ্ঠিত অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন শিল্পীদের নিয়েও বিশেষ ভাবনা আছে বুবলীর। তিনি বলেন, আমি চাই সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। এখানে প্রতিষ্ঠিত কলাকুশলীদের পাশাপাশি নতুনরাও থাকবেন। অনেকে হয়তো ভালো কাজ করেন, কিন্তু নতুন হওয়ার কারণে বড় কোনো কাজে সুযোগ পাচ্ছেন না। সেই শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চাই আমরা।

বিগ প্রোডাকশনের পরিকল্পনা জানিয়ে বুবলী বলেন, আমি সিনেমার মানুষ, তাই সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর জন্য আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তাই চলতি বছর নাটক, শর্টফিল্ম, মিউজিক ভিডিও বানিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই। যাত্রাটা শুরু হবে কোরবানি ঈদের নাটক নিয়ে। এর পাশাপাশি অন্যান্য কাজ আসতে থাকবে। বিগ প্রোডাকশন থেকে সিনেমা নির্মাণ হবে আগামী বছর। সে সময় বড় আয়োজন করে ঘোষণা দেওয়া হবে।

এদিকে, অভিনয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন বুবলী। আসছে রোজার ঈদে একাধিক সিনেমায় তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই ‘পিনিক’ ও ‘জংলি’ সিনেমা দুটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ