তিয়েনআনমেন স্মৃতিস্তম্ভ সরিয়েছে আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়
হংকংয়ের আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তিয়েনআনমেন স্কয়ার গণহত্যার স্মরণে নির্মাণ করা ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলেছে। 'গণতন্ত্রের প্রতীক' দেবীর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলেছে চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অফ হংকং (সিইউএইচকে)। লিংনান বিশ্ববিদ্যালয় 'রিলিফ' বা 'ত্রাণ' নামের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলেছে। খবর বিবিসির।
এর আগে, হংকং বিশ্ববিদ্যালয় 'পিলার অফ শেম' বা 'লজ্জার স্তম্ভ' নামে তিয়েনআনমেন স্কয়ার গণহত্যার স্মরণে নির্মিত বিখ্যাত ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলে। বুধবার ( ২২ ডিসেম্বর) এটি অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গণতন্ত্রের দেবী মূর্তিটি ১৮৮৯ সালে চীনা ছাত্ররা নির্মাণ করেছিল এবং চীনা কর্তৃপক্ষ তিনেয়আনমেন স্কয়ারে দমন-পীড়ন চালানোর ঠিক আগ মুহুর্তে তারা সেখানে প্যারেড করেছিল। তবে মূর্তিটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে লিংনান বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তার এটি সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে ৪ জুন বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন স্কয়ারে ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করতে গিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায় তৎকালীন চীনা সরকার। যেটি তিয়েনানমেন স্কয়ার গণহত্যা হিসেবেও পরিচিত।
চীনা মূলভূখণ্ডের বাইরে হংকং এবং ম্যাকাউ একমাত্র জায়গা যেখানে প্রতিবছর ৪ জুন এই গণহত্যার ঘটনাটি স্মরণ করা হয়।
তবে হংকংয়ের ওপর নতুন আইন কার্যকর এবং এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের বিক্ষোভের মধ্যে এই স্মরণ অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রিত হংকং ১৯৯৭ সালে 'এক দেশ, দুই নীতি'র ভিত্তিতে চীনের কাছে হস্তান্তর হয়। এরপর থেকে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়ে আসছে হংকংবাসীরা।
কেএফ/