যুক্তরাষ্ট্র গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে: গবেষণা
যুক্তরাষ্ট্র গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে, কোনোভাবেই দেশটিকে আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সেন্টার ফর সিস্টেমিক পিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এ গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বারবারা এফ ওয়াল্টার। আগামী জানুয়ারিতে এ গবেষণাকে ভিত্তি করে লেখা তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী বইটি বাজারে আসবে।
চলতি বছরের শুরুতেই নির্বাচনে হেরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার পরই প্রশ্ন ওঠে বিশ্বের বড় গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকা কি গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে?
বছরের শেষে আবারও এরকমই এক শঙ্কার কথা উঠে এসেছে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ সিআইএ'র উপদেষ্টা অধ্যাপক বারবারা এফ ওয়াল্টারের লেখনিতে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞানের অধ্যাপক। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র নিয়ে তার বিশ্লেষণধর্মী বই নিয়ে খবর প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্ট। সেখানেই বারবারা তুলে ধরেন কিভাব যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনএ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক বারবারা এফ ওয়াল্টার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্র। দুই শতাব্দীরও আগে যুক্তরাষ্ট্রের যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তা ধীরে ধীরে খুব বিপজ্জনক অঞ্চলে প্রবেশ করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রাক বিদ্রোহ বা প্রাথমিক সংঘাতের পর্যায় অতিক্রম করেছে। এখন হয়ত ক্যাপিটল সংঘাতের মতো। উন্মুক্ত সংঘাতের অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
বারবারার বইটিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিভাজনসহ করোনা মহামারি একটি সরকারের বিরুদ্ধে কিভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তার সবই উঠে এসেছে। বইটি আগামী বছরের প্রথমদিকে প্রকাশিত হবে।
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের তিন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলও আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফল এবং সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। ২০২০ সালের নির্বাচনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনার্ড ট্রাম্প পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভাজন বাড়ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কেএফ/