যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে প্রাণহানি ৭০ ছাড়িয়েছে

ছবি : সংগৃহীত
শক্তিশালী টর্নেডোর তোড়ে তছনছ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে প্রাণহানির সংখ্যা ৭০ জন ছাড়িয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ৩৬৫ কিলোমিটার গতিতে টর্নেডোটি কেনটাকি জুড়ে আঘাত হানে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, এর আগে তিনি অর্ধশত মানুষের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছিলেন।
শুক্রবারের এ টর্নেডোকে কেনটাকির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছেন বেশিয়ার। তিনি বলেন, প্রাণহানির সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে শুক্রবার মধ্যরাতের আগেই রাজ্যজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তিনি।
গভর্নর বেশিয়ার বলেন, টর্নেডোর আঘাতে মেফিল্ড শহরের একটি মোমবাতি কারখানা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতেই বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় কারখানাটির ভেতরে শতাধিক কর্মী ছিল। উদ্ধারকারীরা ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। সেখানে আরও প্রাণের সন্ধান করা হচ্ছে।
শুধু কেনটাকি নয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ঝড়ের কবলে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইলিনয়, আরকানসাস ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যের কয়েকটি এলাকায়। এসব স্থানেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
কেনটাকিতে টর্নেডো আঘাত হানার আগে শুক্রবার ইলিনয়ের কলিন্সভিল শহরে শক্তিশালী এক ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের একটি গুদাম। সেখানে প্রায় ১০০ কর্মী আটকা পড়েন। তবে কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এদিকে ঝড়ের কবলে পড়ে আরকানসাসে একজন নিহত হয়েছেন। টেনেসিতে কমপক্ষে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
টিটি/
