ইয়েমেনে ১৩ লাখ মৃত্যুর আশঙ্কা জাতিসংঘের
ইয়েমেনে কয়েক বছর ধরে চলছে গৃহযুদ্ধ। এতে মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন লাখো মানুষ। যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশে থামছে না সংঘাত। এ অবস্থা বিরাজ করলে ২০৩০ সাল নাগাদ সংঘাত, ক্ষুধা ও দারিদ্রে প্রায় ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শেষে ইয়েমেনে মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৭৭ হাজারে দাঁড়াতে পারে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। মূলত বিমান হামলা ও সংঘাতে মৃত্যু হলেও প্রধান কারণ হতে পারে সংক্রামক রোগ, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মতো পরোক্ষ কারণগুলো। ইউএনডিপি বলছে, ৬০ শতাংশ মৃত্যু ঘটতে পারে পরোক্ষ কারণে।
এই বিষয়ে ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার বলেন, ‘ইয়েমেনে যুদ্ধের ময়দানের তুলনায় রোগ-শোক-ক্ষুধায় বেশি মানুষের মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট। এই সংকট নিরসনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে এ সংঘাত চলছে। মনসুর হাদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজধানী সানাসহ দেশটির বিশাল এলাকা দখলে নেয় হুতি বিদ্রোহীরা। এর পর থেকে দেশটিতে হাদি সমর্থিত বাহিনী ও হুতি বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। হাদিকে আবারও ক্ষমতায় আনতে ২০১৫ সালের মার্চে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে।
চলমান লড়াই ও যুদ্ধবিদ্ধস্ত পরিস্থিতি ইয়েমেনকে বিশ্বের সবচেয়ে শোচনীয় মানবিক সংকটের মুখে ফেলেছে। জাতিসংঘের মতে, দেশটিতে অন্তত এক কোটি ৫৬ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছেন।
/টিটি/এসএ/