খাসোগির নামে সৌদি দূতাবাসের সামনের সড়কের নাম
সৌদি সরকারের চক্রান্তে হত্যার শিকার সাংবাদিক জামাল খাসোগির নামে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সৌদি আরব দূতাবাসের সামনের সড়কের নাম রাখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন সিটি কাউন্সিল এ সংক্রান্ত একটি বিলের পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। গত মঙ্গলবার এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
খাসোগিকে সম্মান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাসের সামনের নিউ হ্যাম্পশায়ার অ্যাভিনিউের নতুন নামকরণ করা হচ্ছে। সড়কটির নাম হবে 'জামাল খাসোগি ওয়ে'। এএফপির জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস ও ওয়াটারগেট কমপ্লেক্সের মাঝ দিয়ে চলে গেছে নিউ হ্যাম্পশায়ার অ্যাভিনিউ। সম্প্রতি এই সড়কটির নাম পাল্টে 'জামাল খাসোগি ওয়ে' করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ওয়াশিংটন সিটি কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে এ সংক্রান্ত বিল অনুমোদন পায়। ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বৌজার বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খাসোগির নামে সড়কের নামকরণের বিষয়টিতে কংগ্রেস আপত্তি তুলবে না বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
'জামাল খাসোগি ওয়ে' সংক্রান্ত বিল নিয়ে ওয়াশিংটন সিটি কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবাদিকতার মাধ্যমে জামাল খাসোগি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করেছেন। সৌদি দূতাবাসের সামনের সড়ককে জামাল খাসোগির নামে নামকরণের মধ্য দিয়ে তার সম্মানে এমন এক স্মৃতিচিহ্ন তৈরি করা হলো, যা সরিয়ে ফেলা যাবে না। তবে এ বিষয়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে খুন হয়েছিলেন জামাল খাসোগি। সৌদি সরকার ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচক খাসোগি সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন। তুর্কি বাগদত্তাকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে তুরস্কের ওই কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন তিনি।
খাসোগিকে হত্যার অনুমোদন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পশ্চিমা গোয়েন্দাদের পর্যালোচনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন সৌদি যুবরাজ।
এ হত্যার ঘটনায় ২০২০ সালে তুরস্কের আদালতে ২৬ সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তারা সবাই পলাতক।
কেএফ/