কখন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে তা স্পষ্ট করে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি
ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যখন তার দেশের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে শুধুমাত্র তখনই রাশিয়া শত্রুর বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে। তিনি তার দেশের পরমাণু অস্ত্রকে ‘শেষ বিদায়ের অস্ত্র’ বলে এ নিয়ে হুঁশিয়ারিও দেন।
দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়ার যে সামরিক ডকট্রিন রয়েছে তাতে নির্দিষ্ট করে বলা রয়েছে যে, রাশিয়া অথবা তার মিত্ররা যদি আগে পরমাণু হামলার শিকার হয় অথবা দেশের অস্তিত্ব যদি একেবারেই হুমকির মুখে পড়ে তখন রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। পেসকভ আরো বলেন, যদি কোনকিছু আমাদের দেশের অস্তিত্ব হুমকি মুখে ফেলে তবে তখনই শুধুমাত্র পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করা হবে; বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর, একে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
এর আগে, গত বছরের জুন মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, তার দেশের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। তিনি তখন বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র হচ্ছে দেশের সর্বশেষ সামরিক ব্যবস্থা।
এছাড়া, গত সপ্তাহে রাশিয়ার জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, আগ্রাসীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, রাশিয়াকে পরাজিত করার সব রকমের চেষ্টা ব্যর্থ হবে এবং এর সম্ভাব্য পরিণতি কল্পনার চেয়েও ভয়াবহ হবে। সে সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, রাশিয়ার হাতে বিপুল পরিমাণ পরমাণু অস্ত্র মজুদ রয়েছে এবং সেগুলো মোতায়েন করার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।
এদিকে, সুইডেনকে ন্যাটোর নতুন সদস্য করার একদিন আগে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোটে (ন্যাটো) যোগদানের প্রক্রিয়া শেষ করে সুইডেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পরেই ন্যাটোতে যোগ দিতে আবেদন করে সুইডেন। প্রায় দুই বছর ধরে ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর, অবশেষে বৃহস্পতিবার সদস্যপদ পেল দেশটি। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ভূ-রাজনীতিতে চাপে পড়লো রাশিয়া। সূত্র : পার্সটুডে ও বিবিসি।