কোন দিকে মোড় নিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ!
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কড়া সমালোচনার শিকার হয়েছেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক সভায় কিয়েভ ও পশ্চিমাদের উত্থাপিত শান্তি পরিকল্পনা রাশিয়া নাকচ করে দিয়েছে। এই ইস্যুতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন ও অন্য পশ্চিমা দেশগুলোর বাগ্বিতণ্ডা একপর্যায়ে তুমুল আকার ধারণ করে।
বৈশ্বিক অর্থনীতি বর্তমানে এমনিতেই মন্দার ঝুঁকিতে রয়েছে। যুদ্ধের ফলে অর্থনীতি আরো মন্দার দিকে ঝুঁকবে, এমন শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মতে, এই পরিস্থিতি কাম্য নয়। তা ছাড়া প্রশ্ন ওঠেছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এখন কোন দিকে মোড় নিচ্ছে।
ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের উত্থাপিত এ শান্তি পরিকল্পনা প্রকৃত অর্থে ‘গন্তব্যহীন’ বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। জবাবে মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেন, ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে এবং ইউক্রেনের জনগণকে বশে আনতে এ যুদ্ধ পুতিনের একরোখা মানসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে তুরস্কের বাধার মুখে এখনো আটকে আছে ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদ লাভ।
ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা কতটুকু বাড়তে পারে, তা এখনো অস্পষ্ট। মেক্সিকো সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে, টানাপড়েন চলছে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর অনুপ্রবেশ নিয়ে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে এবং পরবর্তী নির্বাচনে জো বাইডেনের পুনরায় অংশগ্রহণ বিঘ্নিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে আন্তঅর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ বর্তমানে বেশ উত্তপ্ত।
রিপাবলিকান দলের সিংহভাগ সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা নিরাপত্তা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করছে। ইউক্রেনকে চলমান যুদ্ধে সহায়তা করলে তা মার্কিন নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে বলে রিপাবলিকান সূত্রে জানা গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে এই যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়া প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কতটুকু সামর্থ্য ও আয়ত্তের মধ্যে থাকবে, তাও এখন তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের চিন্তার কারণ। এই যুদ্ধের ব্যয়ভার বহনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় একাধিক দেশে আগ্রহের কমতি দেখা যাচ্ছে।