ইউক্রেনজুড়ে আবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনের উত্তর দিকের খারকিভ, দক্ষিণে ওডেসা এবং পশ্চিমে ঝিতোমির পর্যন্ত নানা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। খারকিভ ও ওডেসায় মূলত আবাসিক ভবন ও অবকাঠামোগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর এসব শহরের বেশ কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক ও জ্বালানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ( ৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে হামলা চালানোর মধ্যেই এসব এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে।
বন্দর নগরী ওডেসার গভর্নর ম্যাকসিম মারচেঙ্কো বলেন, শহরের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলা চালানো হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আঞ্চলিক প্রশাসনিক প্রধান ওলেগ সিনেগুবভ বলেন, খারকিভ শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোসহ বিভিন্ন স্থানে ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ব ইউক্রেনের ভিন্নিতশিয়া ও রিভনে এবং নিপ্রো পোল্টাভার কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।
বুধবার (৮ মার্চ) মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের এক প্রধান কর্মকর্তা এভ্রিল হেইনস বলেন, এ যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে চলতি বছর নতুন করে বড় কোনো হামলা চালানোর মতো শক্তিশালী রাশিয়া ছিল না।
তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ এখন ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। এখানে দুই পক্ষের কারোই সুনির্দিষ্ট সামরিক সুবিধা নেই। চলতি বছর রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান প্রধান আঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধার করার কোনো আভাস দেখতে পাচ্ছি না আমরা। তবে পুতিন সম্ভবত সময়টি তার পক্ষে বলে মনে করছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করতে যুদ্ধে সম্ভাব্য বিরতিসহ যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করাই সেরা উপায় মনে করছেন, এমনকি এতে কয়েক বছর লেগে গেলেও।
এক বছর আগে ইউক্রেনে এ আগ্রাসন শুরু করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময়ের মধ্যে হাজার হাজার সৈন্য এবং বেসামরিক নাগরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেক নাগরিক। একই সঙ্গে অনেক নাগরিক শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন।
এসএন