ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ-পানিহীন
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে রাশিয়া এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেন্সকি।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, এর জন্য জ্বালানি অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বেসামরিক স্থাপনায় রাশিয়া যে হামলা চালিয়েছে তার ফলেই এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মস্কো এসব হামলা চালাচ্ছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউক্রেনের সেনাদের পাল্টা হামলায় কয়েকটি এলাকা থেকে রুশ সেনারা সরে যায়। এর একদিন পরই দেশটির পূর্বাঞ্চলে বড় অংশজুড়ে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে খারকিভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ বলেন, বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একইসঙ্গে পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও অচল হয়ে যায়। যেসব জায়গায় হামলা হয়েছে, সেখানকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি সেবা বিভাগ কাজ করছে।
রবিবার সুমি, দিনিপ্রপেত্রভস্ক, পোলতাভা, জাপোরিঝঝিয়া ও ওডেসা এলাকার এমন পরিস্থিতি। তবে সুমি, দিনিপ্রপেত্রভস্ক ও পোলতাভা অঞ্চলের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনের সৈন্যদের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় হতাশা থেকে রাশিয়া এসব হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো।
অনলাইনে দেওয়া এক বিবৃতিতে দিনিপ্রপেত্রভস্ক অঞ্চলের প্রধান দিমিত্র রেজনিচেঙ্কো বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয় মেনে নিতে রা পারায় রুশ সেনারা জ্বালানি অবকাঠামোগুলোয় হামলা করেছে।
খারকিভের মেয়র ইহোর তেরেখোব বলেছেন, বেসামরিক স্থাপনায় রাশিয়ার হামলার কারণে শহরের বেশিরভাগ অংশ বিদ্যুৎ ও পানিহীন হয়ে পড়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, খারকিভ ও দোনেৎস্ক অঞ্চল পুরোপুরি এবং জাপোরিঝঝিয়া, দিনিপ্রপেত্রভস্ক ও সুমি অঞ্চল আংশিক বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।
এসএন