ইউক্রেনের সামরিক কৌশল ফাঁসে তীব্র অসন্তোষ জেলেনস্কির
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনের সামরিক কৌশল ফাঁস হওয়ার বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। একই সঙ্গে সামরিক কৌশল ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে তদন্তও শুরু করেছে দেশটি।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়াকে মোকাবিলা করতে কিয়েভের সামরিক কৌশল সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। সামরিক কৌশল নিয়ে বাইরে মন্তব্য করা স্পষ্টতই দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাশিয়ার অধীনে থাকা ক্রিমিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদেন বলা হয়, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এ বিস্ফোরণের পেছনে রয়েছে। ওই সংবাদে ইউক্রেনের অজ্ঞাতপরিচয় কর্মকর্তাদের বরাত দেওয়া হয়। তবে এ বিস্ফোরণের সঙ্গে ইউক্রেনের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না তা বলতে অস্বীকৃতি জানায় কিয়েভের সরকার। এ ঘটনার পরই জেলেনস্কি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধের সময় অবশ্যই অহংকার ও উচ্চস্বরে বিবৃতি দেওয়া যাবে না। আপনি আমাদের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা সম্পর্কে যত কম তথ্য প্রকাশ করবেন, সেই প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য তত ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি তোলপাড় করা কোনো শিরোনাম তৈরি করতে চান তবে সেটি এক জিনিস - যা স্পষ্টতই দায়িত্বজ্ঞানহীন। আর আপনি যদি ইউক্রেনের জন্য জয় চান তবে এটি অন্য জিনিস। প্রতিরক্ষা বা পাল্টা হামলার বিষয়ে আমাদের রাষ্ট্রের পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনি যে কথা বলেন তার প্রতি আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।’
এদিকে ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেন, সামরিক কৌশল সম্পর্কে কোন কোন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘সামরিক কৌশলের তথ্য এভাবে ফাঁস করা হলে তা ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর পরিকল্পনাকে ব্যাহত করে। কারণ এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শত্রুরা তাদের কর্মকাণ্ড সামঞ্জস্য করে এবং আমাদের বিরুদ্ধে সেই তথ্য ব্যবহার করে।
এসএন