ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রথম দিনের আলোচনা শেষ
যুদ্ধ বিরতির লক্ষ্যে বেলারুশে আলোচনা শেষ করেছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। দ্বিতীয় দফা বৈঠকের আগে দুই দেশের কর্মকর্তারা শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শের জন্য নিজ নিজ রাজধানীতে ফিরে যাচ্ছেন বলে বেলারুশের সংবাদ সংস্থা বেলটাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ বৈঠক থেকে বড় কোনো অর্জনের আশা কোনো পক্ষেরই তেমন ছিল না।
ইউক্রেন দাবি করেছে এখনই যুদ্ধ বন্ধ করে রুশ সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যদিকে ক্রেমলিন বলেছে, এমন সমাধান হতে হবে যাতে দুই পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হয়।
ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ ছাড়া আপোষ-সমাধান হবে না: দাবিতে অনড় পুতিন
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রর সঙ্গে সোমবার এক টেলিফোন আলাপের পর এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়ার ‘বৈধ’ উদ্বেগ বিবেচনায় নিলেই ইউক্রেন সংকটের সমাধান সম্ভব।
ফরাসী প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে মি ম্যাক্র প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করে ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেন। তিনি ইউক্রেনে সমস্ত হামলা, বিশেষ করে বেসামরিক লোকজন, সড়ক এবং অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
ফরাসী বিবৃতিতে বলা হয় যে মি ম্যাক্রর অনুরোধ রাখতে তার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
কিন্তু ঐ টেলিফোন আলাপের পর ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয় তাতে স্পষ্ট যে যেসব যুক্তি এবং দাবিতে ইউক্রেনের হামলার নির্দেশ মি পুতিন দিয়েছিলেন তা থেকে তার একচুল নড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমাদের কাছ থেকে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞায় তিনি যে কোনো চাপ বোধ করছেন তার কোনো লক্ষণ অন্তত ঐ বিবৃতিতে পাওয়া যায়নি।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয় যে মি পুতিন ফরাসী প্রেসিডেন্টকে বলেছেন “বোঝাপড়া একমাত্র সম্ভব যদি নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়ার বৈধ উদ্বেগ বিবেচনায় নেওয়া হয়।“
রুশ বিবৃতি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন “ক্রাইমিয়ার ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ত্ব মেনে নিতে হবে, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং নাৎসীমুক্তকরণের সমাধান হতে হবে, এবং ইউক্রেন যেন একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র থাকে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।“
ফরাসীদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সংঘাত যাতে আয়ত্তের বাইরে না চলে যায় তার জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্র প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন।
সূত্র: বিবিসি