ট্রাকচালকদের বিক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে কানাডার ট্রাকচালকরা। এর সূত্র ধরে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ব্যস্ততম সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনরতরা। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার সীমান্ত পার হওয়ার লেন বন্ধ করে দেয় তারা।
কানাডার রাজধানী অটোয়ার উপপুলিশ প্রধান স্টিভ বেল মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেছেন, অবরোধে অংশ নেওয়া অনেক ভারী যানবাহন অচল করে দিয়েছে পুলিশ। তিনি আরও বলেছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া চার শতাধিক ট্রাকের মধ্যে এক চতুর্থাংশ মধ্যে শিশু রয়েছে। ঠাণ্ডা, শব্দদূষণ, কার্বন মনোক্সাইডের ঝুঁকি ও পর্যাপ্ত স্যানিটেশন সুবিধা না থাকায় এসব শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ।
কানাডার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনো বলেছেন, তিনি সীমান্তবর্তী শহর উইন্ডসরের মেয়র ও স্থানীয় আইন প্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কানাডার উইন্ডসর শহরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েটের সংযোগ স্থাপন করেছে অ্যাম্বাসেডর সেতুটি।
মার্কো মেসিন্ডো আরও বলেছেন, অ্যাম্বাসেডর সেতু কেন্দ্র করে সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে আমরা কাজ চালিয়ে যাব। কানাডার ৭৫ শতাংশ রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। আর এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার ট্রাক পারাপার হয়।
উদ্ভূত সংকট নিরসনে কানাডা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেনসাকি।
কানাডিয়ান ভেহিকল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অবিলম্বে অবরোধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছন, অ্যাম্বাসেডর সেতুতে দীর্ঘ যানজটের কারণে স্বয়ংচালিত উত্পাদন ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অথচ এই খাতে হাজার হাজার কানাডিয়ান কাজ করছে।
কানাডার জাস্ট্রিন ট্রুডোর সরকার গত ১৫ জানুয়ারি আন্তঃসীমান্ত ট্রাকচালকদের জন্য করোনার টিকাসংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এর আওতায় কানাডার যে ট্রাকচালকেরা টিকা নেননি, তাদের ট্রাক নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ফেরার পর প্রতিবারই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও সম্প্রতি বলেছে, সে দেশে প্রবেশের জন্য বিদেশি ট্রাকচালকদের অবশ্যই টিকা গ্রহণের প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। টিকাসংক্রান্ত এমন আদেশ জারি করায় ট্রাকচালকরা ক্ষুব্ধ হন। এরপর থেকে অটোয়ায় তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
টিটি/